করোনাকালে করিমগঞ্জে সংগঠিত প্রায় ২২ লক্ষ টাকার কিট কেলেঙ্কারির তদন্তরিপোর্ট কোথায়উঠেছে প্রশ্ন

করিমগঞ্জ (অসম), ২৪ আগস্ট (হি.স.) : করিমগঞ্জ জেলার বিভিন্ন কার্যালয়ে কাজের জন্য যেমন মানুষকে ঘুষ দিতে হচ্ছে তেমনি সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে অনেক ক্ষেত্রে দলীয় বহু নেতাকেও ঘুষ দিতে হচ্ছে, এমন অভিযোগ বিস্তর রয়েছে।

করিমগঞ্জ জেলায় কেলেঙ্কারির কোনও অভাব নেই। অভাব শুধু নিরপেক্ষ তদন্তের। যার জন‍্য করোনার সময় সংঘটিত প্রায় ২২ লক্ষ টাকার কিট কেলেঙ্কারির তদন্ত চেয়ে খোদ জেলা বিজেপি সভাপতির স্মারকপত্র ডিসিকে প্রদানের পরও তদন্ত আজ পর্যন্ত‌ই অধরা। জেলা বিজেপি সভাপতির স্মারকপত্র যখন ফাইলচাপা হয়ে যায়, তখন সাধারণ নাগরিকের কী অবস্থা হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়।

বিজেপি পরিচালিত গত পুরবোর্ডের চেয়ারপার্সনের মাধ্যমে ব‍্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। পরবর্তীতে এই দুর্নীতি নিয়ে বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বিধানসভায় সরব হয়েছিলেন। করিমগঞ্জে পূর্বতন বিজেপি বোর্ডকে চেপে ধরেন কংগ্রেস বোর্ডের প্রাক্তন উপপুরপতি পার্থসারথি দাস।

বিধানসভায় প্রশ্ন উঠলে সরকার তদন্তের নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ী তদন্ত‌ও হয়। কিন্তু তদন্ত রিপোর্ট আজ পর্যন্ত প্রকাশ হয়নি। শহর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গরিব, দুস্থদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর বণ্টনের নামে দেদার দুর্নীতি সংগঠিত হ‌ওয়ার‌ও অভিযোগ রয়েছে। এতে নাম জড়িয়েছে পুরসভারও। এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশের পর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তরফে পত্রিকা মারফত জনগণকে ঘরের জন্য ঘুষ না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে কিছু একটা হয়েছে। অথচ এর আগেই ঘরের জন্য দালালদের লক্ষ লক্ষ টাকা সংগ্রহের অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে যেমন উভয় কার্যালয়ের প্রধানরা নীরব, তেমনি চুপ শাসকদলের জেলা নেতৃত্বও। অথচ সরকারের সর্বাধিক গুরুত্ব রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়। আর এই যোজনায় বৃহৎ কেলেঙ্কারি হয়েছে করিমগঞ্জে। কিন্তু এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটে বসে রয়েছেন শাসকদলের জেলা নেতৃত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *