অসমে জিহাদির অন্যতম আঁতুরঘর মৈরাবাড়ির এক মাদ্রাসায় রাজ্য পুলিশের বুলডজার

মৈরাবাড়ি (অসম), ৪ আগস্ট (হি.স.) : বুলডজার চালিয়ে মধ্য অসমের মরিগাঁও জেলার অন্তর্গত মৈরাবাড়িতে বাংলাদেশি-জিহাদি টাকায় পরিচালিত এক মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল প্রায় আটটা নাগাদ শুরু হয় সাহারিয়া গ্রামের জমিউত-উল-হুদা মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযান।

এই মাদ্ৰাসা পরিচালিত হত জিহাদি আল কায়দার ভ্রাতৃ সংগঠন আনসার-উল্লা বাংলা টিম (এবিটি)-এর অৰ্থানুকূল্যে। এর প্রধানশিক্ষক তথা জিহাদি-লিংকম্যান অভিযোগে গত ২৮ জুলাই মুফতি মুস্তাফা আহমেদ সহ আট শিক্ষককে গ্ৰেফতার করেছে পুলিশ। জমিউত-উল-হুদা মাদ্রাসা থেকে বাংলাদেশ-যোগ, টাকার লেনদেন এবং জিহাদ-সম্পর্কিত বহু পুস্তিকা, নথিপত্রও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছিল। জিহাদি কাৰ্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে মুফতি মুস্তাফার স্ত্রী ও এক ভাইকে আটক করা হয়েছে।
আজ সকালে এসকেভেটর (জেসিবি), সিআরপিএফ ও পুলিশের দল নিয়ে সাহারিয়া গ্রামে পৌঁছেন মরিগাঁওয়ের পুলিশ সুপার আইপিএস অপর্ণা এন। এর পর ২০১৮ সালে মুফতি মুস্তাফা আহমেদের ব্যক্তিগত জমিউত-উল-হুদা মাদ্রাসায় চলে বুলডজার। প্রায় দু-ঘণ্টার মধ্যে জিহাদির অন্যতম আঁতুড়ঘর মাদ্রাসাটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। জানা গেছে, কেবল এই মাদ্রাসাই নয়, উচ্ছেদ করা হবে মাদ্ৰাসার প্রধানশিক্ষক তথা জেহাদি মুফতি মুস্তাফার দালানবাড়িতেও।
ধৃত মুস্তাফার মোবাইল ফোনে পুলিশ উদ্ধার করেছে জিহাদি ও তালিবানী প্ৰশিক্ষণের বহু ভিডিও তথ্য। পুলিশ জানিয়েছে, এই মাদ্ৰাসার ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশি জিহাদিদের যাতায়াত ছিল। মুস্তাফার সঙ্গে বরপেটা, বঙাইগাঁও, গুয়াহাটি, মরিগাঁও থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১৩ জিহাদিকে গ্ৰেফতার করার পর রাজ্য সরকার তথা অসম পুলিশ কড়া অবস্থান নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শৰ্মাও জিহাদি কাৰ্যকলাপে জড়িত মাদ্ৰাসাগুলির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ইতিমধ্যে স্পষ্ট করে দিয়েছেন।