Fake Cricketer:ভুয়ো ক্রিকেটার কান্ড ক্রমশঃ রহস্যাবৃত

ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ জুলাই।।ভুয়ো ক্রিকেটার কাণ্ডের পাঁচদিন অতিক্রান্ত হয়ে গেল। অথচ এখনো এই কাণ্ডের মূল মাস্টার মাইন্ড কারা, তা কিন্তু এখনোও বের করতে পারে নি পুলিশ। একই সঙ্গে সেই ভুয়ো ক্রিকেটারকেও কেন এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করলো না পুলিশ, তা নিয়ে ও উঠছে অবিরাম প্রশ্ন। টিসিএ-র তরফ থেকে ফলাও করে সাংবাদিক বৈঠক করে ভুয়ো ক্রিকেটার কাণ্ডের বিষয়টি তুলে ধরা হলো। টিসিএ-র সভাপতি তপন লোধ এবং ভারপ্রাপ্ত সচিব কিশোর কুমার দাস স্পষ্ট ভাবেই জানিয়েছিলেন, এই বিষয়টা ভালো ভাবেই খতিয়ে দেখা হবে টিসিএ-র তরফে। যদি ও টিসিএর তরফে সেই কোচের নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি সেদিনও । সঙ্গে আজ পর্যন্তও। তবে সেই ভুয়ো ক্রিকেটার মিডিয়ার সামনে স্পষ্ট ভাবে বলে দেয়, তার কাছ থেকে বিশালগরের একজন কোচ যার নাম তপন দেব সে নাকি সাত লাখ টাকার চুক্তি করেই তাকে কলকাতা থেকে রাজ্যে এনেছে। চার লাখ টাকা নাকি তপনকে দেওয়াও হয়েছে। বাকি টাকা দেবার কথা ছিল। ভুয়ো ক্রিকেটার সায়ন ঘোষ এই কথা গুলো শুধু মিডিয়া নয়, টিসিএ-র কর্মকর্তাদের কাছেও বলেছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে প্রশ্ন হলো, টিসিএ শুধু কেন এই ক্রিকেটারের নামেই এফ আই আর করলো। কোচ বা এ বিষয়ে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কেন এফ আই আর করা হলো না। বিষয়টা যেহেতু সবটাই পুলিস তদন্ত করবে, তাহলে এই ক্ষেত্রে জড়িত অন্যদের কেন ছাড় দেওয়া হলো টিসিএ-র তরফে। এর পেছনে নিশ্চয়ই তাহলে অন্য রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। অন্য একটি সূত্রের খবর, ভুয়ো ক্রিকেটার কাণ্ডে জড়িয়ে আছে বিশালগর ক্রিকেট সংস্থার সচিব সহ টিসিএ-র একাধিক কর্মকর্তা। না হলে একজনের ঘাড়ে এত বড় মাথা হবার তো কোনো প্রশ্নই উঠে না। যদিও এই বিষয় নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলেও একটি মহল থেকে বলা হচ্ছে। বিষয়টা পুরোপুরি রহস্যাবৃত। কেন না , রাজ্যে এত এত কোচ থাকার পর সেই ভুয়ো ক্রিকেটার কেন শুধুই নির্দিষ্ট একজন কোচের নাম বললো। সেই কোচের সঙ্গে নিশ্চয়ই তার কোনও বৈরিতা নেই। এই মহকুমা থেকেই তো সে অনুর্ধ ১৯ দলের ক্যাম্পে খেলার সুযোগ পেয়েছিল। অযথা কেন সে কেন একজন কোচের নাম বলবে। সোজাসাপ্টা কথায় শয়ন তো অর্থ লেনদেনের কথাই বলেছে। প্রশ্ন হলো, টিসিএ এবং পুলিশের ভূমিকা ঘিরে। যেহেতু একটা সংশয় তৈরি হয়েছে এই ভুয়ো ক্রিকেটার কাণ্ডে তাহলে তো জড়িত হিসেবে যাদের নাম বলেছে, তাদের তড়িঘড়ি ডেকে এনে এর আসল রহস্যটা কি, তা জানা দরকার ছিল রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার। প্রাপ্ত খবর এরকম যে, পাঁচদিন অতিক্রান্ত হয়ে যাবার পরও কিন্তু টিসিএ-র তরফে এখনও রহস্যের উদঘাটন করা হয়নি। এতে তো একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, টিসিএ-র ই কিছু লোক হয়তো বিষয়টাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় মত্ত। না হলে কেন সেই ক্রিকেটারের সঙ্গে জড়িতদের এফ আই আর অথবা পুলিশকে জানানোর কাজটা করলো না টিসিএ। এই প্রশ্নটা বার বার এখন উঠছে টিসিএ-কে ঘিরেই। এর কি কোনো জবাব আছে টিসিএ-র কাছে। যদি থাকতো তাহলে এতদিনে হয়তো তা প্রকাশ পেয়ে যেত। পুরো বিষয়টাই এখন রহস্যাবৃত ঠেকছে পুরো ক্রিকেট মহলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *