আগরতলা, ২১ জুলাই (হি. স.) : মাস্ক না পরলে এবং কোভিড বিধি উল্লঙ্ঘন হলেই জরিমানা। ত্রিপুরায় করোনার প্রকোপ মোকাবিলায় এই দাওয়াই দিল রাজ্যভিত্তিক টাস্ক ফোর্স। আজ সচিবালয়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে।
এবিষয়ে আজ সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য সচিব ডা. দেবাশীষ বসু। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় কোভিডের বর্তমান অবস্থা নিয়ে রাজ্যভিত্তিক টাস্ক ফোর্সের এক সভা আজ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন মুখ্যসচিব জে কে সিনহা। রাজ্যভিত্তিক টাস্ক ফোর্সের সভায় ত্রিপুরার কোভিডের বর্তমান সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সাথে তিনি যোগ করেন, গত ১১ জুলাই রাজ্যভিত্তিক টাস্ক ফোর্সের সভায় যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে যে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সে বিষয়েও সভায় আলোচনা করা হয়েছে।
তিনি জানান, সভায় সিদ্ধান্ত অনুসারে ত্রিপুরার জনগণকে মাস্ক পরার বিষয়টি নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। মাস্ক না পরার বিরুদ্ধে অভিযান করার জন্য আরক্ষা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাস্ক না পরলে এখন থেকে ২০০ টাকা জরিমানা করার বিষয়েও সভায় আলোচনা হয়েছে। তাঁর কথায়, মাস্ক না পরলে এবং কোভিড বিধি উল্লঙ্ঘন হলে জরিমানা আদায় করা হবে।
স্বাস্থ্যসচিব ডা. দেবাশিস বসু জানান, কোভিডের বিধিনিষেধ সম্পর্কে রাজ্যের জনগণকে সচেতন করতে আইইসি কর্মসূচি ত্রিপুরাব্যাপী সংঘটিত করা হবে। এক্ষেত্রে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে কোভিডের বিধিনিষেধ সংক্রান্ত ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড লাগানো, রেল স্টেশন, বাস স্ট্যান্ড, আগরতলা বিমানবন্দরে প্রচার অভিযান, কোভিডের বিধিনিষেধ সম্পর্কে গ্রাম শহরে প্রচার করার লক্ষ্যে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং আশাকর্মীদের নিযুক্ত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য সচিব জানান, এখন থেকে পাবলিক প্লেসে কোভিডের বিধিনিষেধ যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা তা নিয়মিত তদারকি করা হবে। প্রসঙ্গত, করোনার প্রকোপ মোকাবিলায় আজ জারি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ত্রিপুরবাসীকে বাড়ি এবং অফিসের বাইরে অহেতুক ঘোরাফেরা না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মেলা, প্রদর্শনী, মিছিল এবং জনসভা এড়িয়ে চলা শ্রেয় বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ব্যবসায়ীদের নিজ দোকানে এবং বাজারে স্বেচ্ছা সেবকদের সহায়তায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সুনিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে।এদিন কোভিড টিকাকরণ নিয়ে ডা. মৌসুমী সরকার জানান, ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত মোট ৫৫ লক্ষ ৫৯ হাজার ৭৮৭টি টিকাকরণ করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ২৮ লক্ষ ৯৮ হাজার ৫৭২টি, দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ২৪ লক্ষ ৭৫ হাজার ৪৩৪টি এবং সুরক্ষা ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার ৭৮১টি।