এনএফ রেলওয়ের অন্তর্ভুক্ত আট সহ সমগ্র দেশের ৭৫৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে সংযুক্ত হবে ভিডিও সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম

গুয়াহাটি, ৯ জুলাই (হি.স.) : উত্তর পূর্ব সীমান্ত (এনএফ) রেলওয়ের অন্তর্ভুক্ত আট সহ সমগ্র দেশের ৭৫৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে ভিডিও সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম সংযুক্ত করা হবে। নির্ভয়া তহবিলের মাধ্যমে ভারতীয় রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে ভিডিও সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম (ভিএসএস) প্রকল্প (সিসিটিভি ক্যামেরা নেটওয়ার্ক)-এর বাস্তবায়ন করার দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা রেল মন্ত্রকের অধীনে একটি মিনি রত্ন কেন্দ্রীয় সরকারের পিএসইউ রেলটেলের পক্ষ থেকে সম্পাদন করার জন্য এজেন্সি নির্বাচিত করে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জানিয়েছেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে।

এক প্রেসবার্তায় উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে এই খবর জানিয়ে বলেন, এ-ওয়ান, এ, বি, সি শ্রেণির ৭৫৬টি মুখ্য স্টেশনকে অন্তর্ভুক্ত করে এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। নির্ভয়া তহবিলের মাধ্যমে ভারতীয় রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে ভিডিও সার্ভেইল্যান্স সিস্টেমের জন্য রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে অনুমোদনও জানানো হয়েছে।

তিনি জানান, এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অধিক্ষেত্রের মধ্যে আটটি রেলওয়ে স্টেশনকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কাটিহার ডিভিশনের পুর্নিয়া জংশন, রায়গঞ্জ ও সামসি স্টেশন, লামডিং ডিভিশনের অধীনে আগরতলা স্টেশন, রঙিয়া ডিভিশনের অধীনে বরপেটা রোড এবং বঙাইগাঁও স্টেশন, তিনসুকিয়া ডিভিশনের অধীনে যোরহাট টাউন ও তিনসুকিয়া স্টেশনকে ভিডিও সার্ভেইল্যান্স সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

দ্বিতীয় পর্যায়ের বাকি থাকা স্টেশনগুলিতেও ভিডিও সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম বাস্তবায়নের কাজ হবে। রেলমন্ত্রকের মূল লক্ষ্য যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করা। পরিবহণের মুখ্য কেন্দ্র রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে সুরক্ষা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করতে ভারতীয় রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে ইন্টারনেট প্রোটোকল (আইপি) ভিত্তিক ভিডিও সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম (ভিএসএস) স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে ওয়েটিং হল, রিজার্ভেশন কাউন্টার, পার্কিং এরিয়া, মুখ্য প্রবেশ দ্বার / প্রস্থান দ্বার, প্ল্যাটফর্ম, ফুট ওভার ব্রিজ, বুকিং অফিস প্রভৃতি।

এই পদ্ধতি বাস্তবায়নের পর যে কোনও জটিল পরিস্থিতি / ঘটনার কার্যকর প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য একটি উপকরণ হিসেবে ভূমিকা পালন করবে, যা দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করবে। এছাড়া, রিসার্চ ডিজাইন ও স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন (আরডিএসও) অনুযায়ী ভিডিও অ্যানালিটিক ও ফেস রিকগনাইজেশনের মতো কিছু সফটওয়্যার ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশনের সাথে যে কোনও ঘটনা ও পরিণামের মোকাবিলা করার উন্নতমানের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য এটি একটি কার্যকর শিক্ষা হিসেবেও কাজ করবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স (এআই) সক্রিয় থাকা এই অ্যানালাইটিক সফটওয়্যারে নির্দিষ্ট অ্যালার্মের ব্যবস্থা ও অপারেটরের দিক থেকে পপ আপ ভিউ সহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সব্যসাচী দে জানান, ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার এবং আইপি ভিত্তিক এই ভিডিও সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম যাত্রীদের, বিশেষ করে মহিলা যাত্রীদের উন্নত সুরক্ষা প্রদানে সহায়ক হবে। এটি আরপিএফ-কে দ্রুত ও সমন্বয়ক পদক্ষেপ নিতে সক্ষম করবে এবং ভিড় পরিচালনা ও ভিড় নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও তাঁদের সাহায্য করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *