Trouble In Mahesh:উল্টোরথে মাহেশে ঝামেলা, উত্তেজনা

হুগলি, ৯ জুলাই (হি. স.) : ৮ দিন ধরে মাসির বাড়িতে থাকার পর শনিবার আবার নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা। পুরীর জগন্নাথ ধাম ছাড়াও আমাদের মাহেশে ধুমধাম করে পালিত হয় এই উৎসব। স্বাভাবিকভাবেই মন্দিরে ভিড় জমান অসংখ্য মানুষ। তবে এদিন এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বাঁধলো এক বিপত্তি।

এদিন মাহেশে জগন্নাথ মন্দিরে কুড়ি টাকা করে একটি কুপন কাটার নিয়ম চালু করা হয়। এ নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। প্রত্যেক ভক্তের পুজো দেওয়ার জন্য এই কুপন তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। একাধিক মানুষের দাবি, অতীতে কখনোই মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য কুপন কাটতে হয়নি। ফলে এ বছর মন্দির কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপে হতবাক তারা। এ নিয়ে বিবাদ বেঁধে যায় দুই পক্ষের মধ্যে। মন্দিরে হাজির হওয়া এক ভক্তের দাবি, “উল্টো রথে আমরা প্রতিবছর মাহেশে আসি এবং মন্দিরে পুজো দিই। কিন্তু কোন বছর টাকা দিয়ে পুজো দিতে হয় না। বর্তমানে জগন্নাথ দেবকে নিয়েও ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে এরা।”

বেশ কয়েকজন মানুষ কুপন কেটে পুজো দিলেও অপর পক্ষে টাকা না দেওয়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর থাকে অসংখ্য ভক্ত এবং মন্দিরের সেবাইত তমাল অধিকারীর সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে তারা। কয়েক মুহূর্তেই গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সেখানে এসে উপস্থিত হন স্থানীয় পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর।

উল্টো রথের সাত সকালে এহেন বিতর্কের ফলে স্বভাবতই সরগরম হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শংকর গাঙ্গুলী বলেন, “প্রতিবছর উল্টো রথের দিন মন্দিরে অনেক ভিড় হয়। প্রত্যেকেই জগন্নাথ দেবকে পুজো করতে আসেন। তবে টাকার বিনিময় কেন পুজো দিতে হবে, সেই প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই জানতে চাওয়া হয়েছে। ট্রাস্টি বোর্ডের কাছে এই প্রসঙ্গে উত্তর চেয়েছি। এক্ষেত্রে মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়।” তবে শেষপর্যন্ত এই বিতর্ক কোথায় গিয়ে থামে, সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *