আগরতলা, ৬ জুলাই (হি. স.) : স্বপ্ন পূরণে অদম্য ইচ্ছা শক্তিই হাজারো বাধা পেরিয়ে এগিয়ে নিয়ে যায়। আজ সেটাই করে দেখালেন পঞ্চাশোর্ধ শিলা রাণী দাস। দুই মেয়েকে সাথে নিয়ে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। তাঁর দুই মেয়ে আজ উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়েছেন। তিনি জানান, কিশোরী অবস্থায় একাধিকবার পরীক্ষায় বসার চেষ্টা করেছি। অন্তিমবার স্বামীর মৃত্যু সমস্ত চেষ্টা বিফল করেছে। তবুও, জেদ ছাড়িনি। তাই, আজ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে স্বপ্ন পূরণ সম্ভব হয়েছে।
আজ ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। বড়দোয়ালি মিলন সংঘ এলাকার বাসিন্দা শিলা রাণী দাস(৫৩) এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তিনি পুর নিগমে কর্মরত রয়েছেন। তিনি জানান, কিশোরী অবস্থায় একাধিকবার চেষ্টা করেও পরীক্ষায় বসা সম্ভব হয়নি। ১৯৯৪ সালে পরীক্ষায় বসার আবেদনপত্র জমা দিয়েও পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এরপর আরও দুইবার চেষ্টা করেছি। কিন্ত, স্বামীর মৃত্যুতে পরীক্ষা দেওয়া হয়নি।
তাঁর কথায়, মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার স্বপ্ন মনের মধ্যেই পুষে রেখেছিলাম। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তিনি জানান, নজরুল বিদ্যা মন্দির থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাঁর দুই মেয়ে বাণী বিদ্যাপীঠ স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছে। মা ও দুই মেয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায়, সকলেই অত্যন্ত খুশি প্রকাশ করেছেন।
তাঁর ছোট মেয়ে বলেন, মা আজ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। ঠাকুরের অশেষ কৃপায় তা সম্ভব হয়েছে। তাঁর বড় মেয়ে বলেন, শ্বশুর বাড়িতে থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছি। তাই, মা-কে বিশেষ সহায়তা করা সম্ভব হয়নি। কিন্ত, আজ ফলাফলে ভীষণ খুশি হয়েছি।শিলা রাণী দাস বলেন, মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য দুই মেয়ে সাহস যুগিয়েছে। তাই, আজ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরেছি। তিনি আগামীদিনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবেন বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

