‘উদ্ধবের ইস্তফায় খুশি নই’, সঞ্জয় রাউতকে বিঁধে বার্তা শিব সেনা বিক্ষুব্ধদের

মুম্বই, ৩০ জুন ( হি. স.) : মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ আঘাড়ির সরকারের পতন হয়েছে। পরিস্থিতির চাপে পড়ে ইস্তফা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। সেই সঙ্গে বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে শিব সেনার বিক্ষুব্ধদের সরকার গড়ার রাস্তাও পরিষ্কার হয়েছে। কিন্তু এর পরও খুশি নন শিবসেনার বিক্ষুব্ধরা। তাঁদের সাফ বার্তা, ‘আমাদের লড়াই ছিল এনসিপি এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে, উদ্ধবের বিরুদ্ধে নয়।’ তাছাড়া এই পুরো পর্বের জন্য উদ্ধবকে কাঠগড়াতেও তুলছেন না শিব সেনার বিক্ষুব্ধরা। বরং তাঁদের নিশানায় দলেরই আরেক শীর্ষ নেতা সঞ্জয় রাউত।

বুধবার রাতে পাঁচতারা হোটেলে উদ্ধবের ইস্তফার খবর পৌঁছানোর পর নাকি বিক্ষুব্ধ শিবিরের একাধিক বিধায়ক দুঃখপ্রকাশ করেছেন। বিক্ষুব্ধ শিবিরের মুখপাত্র দীপক কেসরকর তো প্রকাশ্যেই বলেছেন, “উদ্ধব ঠাকরের পদত্যাগ আমাদের কাছে আনন্দের বিষয় নয়।” তাঁর সাফ কথা, আমাদের লড়াই ছিল এনসিপি এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সেই লড়াইয়ে আমরা নিজেদের নেতার বিরুদ্ধেই লড়াই করে ফেললাম। আমরা শিবসেনা ছেড়ে যাব না। এরপরই শিব সেনা সরকারের পতনের জন্য সরাসরি সঞ্জয় রাউতকে তোপ দাগেন দীপক। তাঁর অভিযোগ, সঞ্জয়ের জন্যই বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয় শিবসেনার। নিয়ম করে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক বিষাক্ত করে তুলছিলেন তিনি।
একনাথ শিণ্ডের বিদ্রোহের অন্যতম কারণই ছিলেন রাউত। শিণ্ডের মনে হয়েছিল, উদ্ধব রাউতকে প্রয়োজনের থেকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে ফেলছেন। রাউতের প্রতি ক্ষোভ থেকেই বিদ্রোহ শুরু করেন থানের এই স্ট্রংম্যান। সরকারের পতনের পর অবশ্য সে তত্ত্ব মানতে নারাজ শিবসেনা সাংসদ। তিনি বরং একটি ছবি এঁকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, উদ্ধবকে পিছন থেকে ছুরি মারা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর হুঙ্কার, শিবসেনা ফিরে আসবে। ক্ষমতার জন্য শিবসেনা তৈরি হয়নি। শিব সেনার জন্য ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবারই ইডির তলবে সাড়া নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দেবেন তিনি।

সূত্রের খবর, আড়াই বছর বাদে ফের মহারাষ্ট্রের কুর্সিতে বসছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। একনাথ শিণ্ডে হবেন উপমুখ্যমন্ত্রী। আর ৪০ জন মন্ত্রীর ২৮ জন হবে বিজেপি থেকে ১২ জন হবে শিব সেনার বিক্ষুব্ধ শিবির থেকে। যদিও শিণ্ডে প্রকাশ্যে দাবি করেছেন, নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে এখনও বিজেপির সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *