জাগিরোড (অসম), ২৫ জুন (হি.স.) : অসমের বিভিন্ন প্রান্তে জাতীয় সড়কের পাশে এ মুহূর্তে কেবল বন্যাদুর্গত মানুষের শিবির। এরই মধ্যে গতকাল শুক্রবার মধ্যরাত প্রায় ১২টা নাগাদ জাগিরোডের ধরমতুলে জাতীয় সড়কের পাশে দুরন্ত বেপরোয়া এক গাড়ির চাপায় এক ব্যক্তির ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর পাশাপাশি নয় মাসের শিশুসন্তান ও মহিলা সহ সাতজন গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। আহতদের গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভরতি করা হয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। নিহতকে বছর ২৫–এর বুবু দাস বলে শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন যথাক্ৰমে রামপাল দাস, রীতা দাস, শিব দাস, সংগীত দাস, সঞ্জীব দাস, সঞ্জয় দাস (নয় মাস) এবং শোণিত দাস। তাঁদের মধ্যে দুজনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, প্ৰশাসন প্ৰদত্ত প্লাস্টিকের ত্রিপাল টাঙিয়ে খোলা আকাশের নীচে জাতীয় সড়কের পাশে অসংখ্য বন্যার্ত পরিবার আশ্রয় নিয়ছেন। গতকাল রাতে একই পরিবারের সদস্যরা বসে খাবার খাচ্ছিলেন। এমন সময় এএস ০১ এনসি ১২০৪ নম্বরের একটি টাটা মোবাইল সেখানে দণ্ডায়মান একটি টাটা ম্যাজিকের পিছনে সজোরে ধাক্কা মেরে ওই পরিবারের ওপর চড়ে বসে। এতে বুবু দাস ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান এবং বাকি সাতজন আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে অকুস্থলে স্থানীয় পুলিশের দল এসে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। এদিকে বিভিন্ন মহল থেকে এ ধরনের দুর্ঘটনার জন্য প্রশসনকে দায়ী করা হচ্ছে। ওই সব মহলের বক্তব্য, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তার পাশে এ মুহূর্তে কেবল বন্যার্তদের ত্রাণশিবিরের লাইন। এমতাবস্থায় যে সব স্থানে জাতীয় সড়কের পাশে ত্রাণশিবির রয়েছে, সে সব স্থানে রাস্তার দু মাথায় কেন দুরন্ত বেপরোয়া গাড়িঘোড়া নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা রাখা হয়নি। তবে ঘটনাস্থলে আজ এ ধরনের প্রশ্নের সম্মুখিন হলে এই ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান পুলিশের জনৈক পদস্থ অফিসার।