ধর্মনগর(ত্রিপুরা), ২১ জুন (হি. স.) শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ৫৭-যুবরাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আজ ২১ জুন বিকেল ৫টা থেকে পরবর্তী আদেশ জারি করা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে। প্রসঙ্গত, আগামী ২৩ জুন সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৫৭-যুবরাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে। ভারতের নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের জন্য শান্তি সম্প্রীতি এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় উত্তর ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক এক আদেশে সিআরপিসি-১৪৪ ধারায় কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
জেলাশাসক আদেশে জানিয়েছেন, ৫৭-যুবরাজনগর বিধানসভা এলাকার কোনও জায়গায় পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তি লাঠি, লোহার রড, বাঁশ, পাথর প্রভৃতি অস্ত্র সহ বা অস্ত্র ছাড়া সমবেত হতে পারবেননা। ৫৭-যুবরাজনগর বিধানসভা এলাকায় স্বরবর্ধক যন্ত্র বা যন্ত্র ছাড়া জনসভা, মিছিল, জমায়েত করা যাবেনা। দুই বা ততোধিক বাইক বা গাড়ি একসঙ্গে চলতে পারবেনা।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রার্থী অথবা প্রার্থীর সাথে থাকা ব্যক্তি ভোটারকে কোন প্রকার নগদ বা সন্তুষ্টি প্রদান করতে পারবেনা এবং ভোটারকে ভয় দেখানো বা হুমকি দিতে পারবেনা। নাগরিকদের বিশ্রাম এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য রাত ১০ টার পর বাড়ি বাড়ি প্রচার করা যাবেনা। জেলাশাসকের এই আদেশ আজ ২১ জুন ৫টা থেকে পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
জেলাশাসক আদেশে জানিয়েছেন, ভোটকর্মী, ভোটের কাজে নিযুক্ত সিআরপিএফ বা পুলিশ কর্মী, তাদের গাড়ি, পাস সহ সংবাদ কর্মী, গাড়ি চালক ও সহকারি এবং নির্বাচনের কাজে নিযুক্ত যানবাহন এই আদেশের বাইরে থাকবে। ভোটার পরিচয়পত্র সহ ভোটার হেঁটে বা ব্যক্তিগত যানবাহনে আসা এবং শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোটকেন্দ্রে দাঁড়ানো ভোটারদের ক্ষেত্রে এই আদেশে ছাড় রয়েছে।
ভোটকেন্দ্রের ২০০ মিটার এলাকার বাইরে শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনের জারি করা পরিচয়পত্র নিয়ে ভোট দিতে আসা ভোটারদের পরিবারের সদস্যদের যানবাহনের ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। সরকারি কাজে নিযুক্ত সরকারি কর্মচারি, পুলিশ, সিএপিএফ অথবা সশস্ত্র সেনার ক্ষেত্রে, দিনের বেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষামূলক কাজে সমবেত হলে, সরকার অথবা বেসরকারি অফিসের রুটিনমাফিক কাজ, সাধারণ যাত্রীর ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে।ধর্মীয় স্থানে সাধারণ উপাসনায় জমায়েতের ক্ষেত্রে, বিয়ে জন্মদিন প্রভৃতি সামাজিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞায় ছাড় রয়েছে। তবে ঐসব অনুষ্ঠানে কোনও নগদ বা বস্তু বিতরণ করা যাবে না। রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রার্থীদের গাড়ি অথবা উপযুক্ত নির্বাচন কর্তৃপক্ষের অনুমতি দেওয়া গাড়ির ক্ষেত্রে এই আদেশে ছাড় রয়েছে। এই আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জেলাশাসকের আদেশে জানানো হয়েছে।