আগরতলা, ২০ জুন (হি. স.) : ত্রিপুরায় উপনির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় এখনই আঁচ করতে পারছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ পুড়বে বলেই হয়তো দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করছেন, বিরোধীদের বিভাজিত ভোটের ফায়দা বিজেপি ঘরে তুলে নেবে। তাই, তিনি আগামী ২৩ জুন ভোট দেওয়ার আগে আরো একবার ভেবে দেখবার জন্য ভোটারদের উদ্দেশ্যে অনুরোধ জানিয়েছেন।
আজ সাংবাদিক সম্মেলনে অভিষেক বলেন, ত্রিপুরায় বিজেপির ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ময়দান কামড়ে পরে থেকে কোন দল লড়াই করছে, গণদেবতার তা ভেবে দেখতে হবে। তাঁর দাবি, ত্রিপুরায় তৃণমূল সংগঠন বিস্তার করতে শুরু করতেই বিজেপির রাতের ঘুম উড়ে গেছে। কারণ, পুর নির্বাচনের আগে সিপিএম কিংবা কংগ্রেস, উভয় দলই ঘুমে আচ্ছন্ন ছিল। তাঁর কটাক্ষ, সিপিএম প্রধান বিরোধী দল হয়েও তৃণমূল কংগ্রেসের মতো বিজেপিকে কঠিন লড়াই ছুড়ে দিতে ব্যর্থ। তাঁর দাবি, গত দশ মাস ধরে ত্রিপুরায় কঠিন ঝড়ের মোকাবিলা করে টিকে রয়েছে তৃণমূল। তাই, ভোট দেওয়ার আগে অন্তত ৩০ সেকেন্ড নতুন করে ভেবে দেখুন।
তাঁর মতে, বিভাজিত বিরোধী ভোট বিজেপিকে নির্বাচনে ফায়দা ঘরে তুলতে সহায়তা করবে। তাই, সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপিকে পরীক্ষা করার পর এবার অন্তত একবারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে সুযোগ দিন, ভোটারদের উদ্দেশ্যে কাতর আবেদন অভিষেকের। তাঁর দাবি, বিজেপির বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই ছুড়ে দেওয়ার ক্ষমতা এখন একমাত্র তৃণমূলের রয়েছে।
ত্রিপুরায় সন্ত্রাস হচ্ছে দাবি করে অভিষেকের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা মুখে শান্তির বার্তা দিচ্ছেন। অথচ, তিনিও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের পথ অনুসরণ করছেন। তাঁর কথায়, তৃণমূল প্রার্থীরা লাগাতর হামলার শিকার হচ্ছেন। প্রচার সজ্জা নষ্ট করা থেকে শুরু করে ইটপাটকেল ছুড়ে মারা, সবকিছুই মুখ বন্ধ করে সহ্য করছেন। তিনি বিদ্রুপের সুরে বলেন, দিল্লি থেকে রিমোট কন্ট্রোলে ত্রিপুরায় সরকার পরিচালিত হচ্ছে। তাই, চেহেরা বদলেছে ঠিকই, পরিস্থিতি একই রয়েছে।এদিন তাঁর কথায় স্পষ্ট, উপনির্বাচনে গোহারা হার হবে বুঝে গেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ, ঢাল তলোয়ার ছাড়া পশ্চিমবঙ্গ থেকে নেতাদের ধার করে এনে নির্বাচনী বৈতরিণী পার হওয়া সম্ভব নয়, রাজনীতিবিদ হিসেবে এমনটা তাঁর ধারণা হওয়া স্বাভাবিক বলেই মনে হচ্ছে।

