আগরতলা, ১০ জুন (হি. স.) : লাগাতর হামলার শিকার হচ্ছেন জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া। গতকালের পর আজ ফের তাঁর অনুষ্ঠানে হামলা হয়েছে। গাড়ি ভাংচুর করেছে। তাতে, পুলিশ কর্মী সহ তিনজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হয়ে পুলিশের লাঠিচার্জ করতে এবং কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয়েছে। ওই ঘটনায় সন্দেহজনক ১০ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার জম্পুইজলায় তাঁর উপর হামলা হয়েছিল।
মোহনপুর এসডিপিও কমল বিকাশ মজুমদার বলেন, সিমনা বিধানসভা কেন্দ্রের অধীন দারগাবাড়ি স্কুলে প্রশাসনিক শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানে জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া এবং স্থানীয় নেতা মঙ্গল দেববর্মা অংশ নিয়েছিলেন। হটাৎ স্থানীয় মহিলারা অনুষ্ঠান স্থলে পৌছে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এবং শ্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত অনুমান করতে পেরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছিল এবং নেতাদের সেখান থেকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয়েছে। বিশাল সংখ্যায় টিএসআর এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মহিলাদের ইটপাটকেলে এক পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়াও আরও দুইজন আহত হয়েছেন, বলেন তিনি।
বিক্ষুব্ধ মহিলাদের বক্তব্য, প্রশাসনিক শিবিরকে বিজেপি নেতারা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পরিবর্তিত করেছিলেন। স্থানীয়দের না জানিয়ে ওই শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। তাছাড়া, প্রশাসনিক শিবিরে রাজনৈতিক দলের নেতারা কেন থাকবেন সেই প্রশ্নের জবাব চেয়েই তাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাঁদের সাফ কথা, প্রশাসনিক শিবিরের মোড়কে রাজনৈতিক কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছিল। অন্যথা, এলাকার সমস্ত মানুষকে শিবির সম্পর্কে অবগত করা হতো।
এ-বিষয়ে বিজেপি জনজাতি মোর্চার সহ সভাপতি তথা মোহনপুর মহকুমা জনজাতি আবাসের চেয়ারম্যান মঙ্গল দেববর্মা বলেন, অনুষ্ঠান ঠিকমতই চলছিল। প্রধান অতিথির ভাষণ দেওয়ার জন্য জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া মঞ্চে উঠতেই তিপরা মথার সমর্থিত দুষ্কৃতীরা ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। তাঁরা গাড়ি ভাংচুর করেন। তাতে, বেশ কয়েকজন মাথায়, বুকে, পায়ে আঘাত পেয়েছেন। তিনি বলেন, দুষ্কৃতীরা আমার গাড়ির দুইটি কাঁচ ভেঙেছে। মন্ত্রীর গাড়িতেও ভাংচুর করেছে। এধরনের উগ্র আচরণ কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। পাহাড়ে তিপরা মথার সমর্থকরা যেভাবে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করছে তাতে মনে হচ্ছে, অন্য রাজনৈতিক দলের রাজনীতি করার অধিকার নেই।
পরবর্তীতে এমডিসি তথা তিপরা মথার নেতা রবীন্দ্র দেববর্মা এবং বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মা খোয়াই চৌমুহনী এবং হেজামারায় পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। পুলিশ ওই ঘটনায় সন্দেহজনক ১০ জনকে আটক করেছে।

