মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা আজ তাঁর মন্ত্রিসভার সামান্য সম্প্রসারণ করে নতুন দুই মন্ত্রীকে তাঁর ক্যাবিনেটে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটেয় শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্ৰের মিলনায়তনে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মাকে সঙ্গে নিয়ে নয়া দুই মন্ত্রী যথাক্রমে হাফলঙের বিধায়ক নন্দিতা গারলোসা এবং নলবাড়ির জয়ন্তমল্ল বরুয়াকে পদ ও গোপনীয়তার শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন রাজ্যপাল অধ্যাপক জগদীশ মুখি। নতুন দুই মন্ত্রীকে দফতর বণ্টন করার পাশাপাশি কয়েকজন মন্ত্রীর দফতরে রদবদল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আজ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পর মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ক্যাবিনেট সদস্যদের নতুন দফতরের তালিকা প্রকাশ করেছেন। ১৩ জনের পূর্ণ মন্ত্রীর জায়গায় নতুন দুজনকে নিয়ে সম্প্রসারিত ক্যাবিনেট সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫। প্রকাশিত তালিকায় দেখা গেছে, চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারির হাত থেকে পরিবহণ, পরিমল শুক্লবৈদ্যের হাত থেকে বন ও পরিবেশ এবং বিমল বরার হাত থেকে বিদ্যুৎ দফতর কেড়ে নেওয়া হয়েছ।
নতুন মন্ত্রিপরিষদের তালিকা অনুযায়ী গৃহ, রাজনৈতিক, কৰ্মচারী, পূর্ত সহ যে সকল দফতর বণ্টন হয়নি সে সব গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ তাঁর হাতে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা।
চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারিকে বন ও পরিবেশ, অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি এবং সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর। তাঁর হাত থেকে নেওয়া হয়েছে পরিবহণ এবং শিল্প ও বাণিজ্য।
পরিমল শুক্লবৈদ্যের হাত থেকে বন ও পরিবেশে নিয়ে দেওয়া হয়েছে চন্দ্রমোহনকে। চন্দ্রমোহনের পরিবহণ দফতর দেওয়া হয়েছে পরিমলকে। তাছাড়া আগের মৎস্য ও আবগারি দফতর যথারীতি রয়েছে পরিমলের হাতে।
বিমল বরাকে দেওয়া হয়েছে শিল্প ও বাণিজ্য, সাংস্কৃতিক পরিক্ৰমা দফতর।
রঞ্জিতকুমার দাসের হাতে রয়েছে পঞ্চায়েত ও গ্ৰামোন্নয়ন, খাদ্য ও অসামরিক সরবরাহ এবং সাধারণ প্ৰশাসন দফতর।
শরিক অগপ সভাপতি তথা বোকাখাতের বিধায়ক অতুল বরার হাতে রয়েছে কৃষি, উদ্যান শস্য, পশুপালন, সীমান্ত অঞ্চল উন্নয়ন এবং অসম চুক্তি রূপায়ণ দফতর।
অন্যতম শরিক জল ইউপিপিএল-এর বিধায়ক তথা মন্রী া উৰ্খাওগৌরা ব্ৰহ্মের হাতেও রয়েছে হস্ততাঁত ও বস্ত্ৰশিল্প, ভূমি সংরক্ষণ, সমতল জনজাতি উন্নয়ন (বিটিআর, বড়োল্যান্ড) দফতর।
অগপ বিধায়ক তথা মন্ত্রী কেশব মহন্তের হাতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, মেডিক্যাল এডুকেশন, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্ৰযুক্তি দফতর দেওয়া হয়েছে। তাঁর দফতরে রদবদল করা হয়নি।
ডা. রণোজ পেগুকে দিয়েছেন শিক্ষা, সমতল জনজাতি এবং পশ্চাদপদ শ্ৰেণির উন্নয়ন (বিটিআর এলাকার বাইরে)।
ডা. রণোজ পেগুর হাতে শিক্ষা, জনজাতীয় উন্নয়ন, ইন্ডিজিনিয়াস এবং আদিবাসী আস্থা ও সাংস্কৃতিক দফতর।
অশোক সিংঘলের হাতে গেছে হাউসিং ও নগরোন্নয়ন এবং জলসেচ দফতর।
যোগেন মোহনের হাতে রাজস্ব এবং পাৰ্বত্য অঞ্চল উন্নয়ন দফতর।
সঞ্জয় কিষাণের কাছে রয়েছে পূর্ববর্তী শ্ৰম-উন্নয়ন, চা জনজাতি উন্নয়ন দফতর।
অজন্তা নেওগের হাতে অর্থ, মহিলা ও শিশু উন্নয়ন দফতর রয়েছে।
পীযূষ হাজরিকার হাতে জলসম্পদ, তথ্য ও জনসংযোগ এবং সামাজিক ন্যায় দফতর।
নতুন মন্ত্রী নন্দিতা গারলোসার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ, কো-অপারেশন, খনি ও খনিজাত সম্পদল এবং আদিবাসী ও উপজাতীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতি দফতর।
এবং আরেক নতুন মন্ত্রী জয়ন্তমল্ল বরুয়াকে দেওয়া হয়েছে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি, দক্ষতা বিকাশ ও উদ্যোগ এবং পৰ্যটন দফতর।
এদিকে রাজ্যবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা মনে করিয়ে দিয়ে সকল মন্ত্রীকে নিজের নিজের দফতরের কাজকর্ম সুচারুরূপে সম্পাদন করার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা।