নয়াদিল্লি, ৩০ মে (হি.স.): কোনও প্রচেষ্টা অথবা সহায়তা পিতা-মাতার স্নেহের স্থান নিতে পারবে না। বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে ‘ধরিত্রী মা’ করোনার জন্য অনাথ হওয়া শিশুদের পাশে আছে। বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে পিএম কেয়ারস কর্মসূচিতে শিশুদের সুবিধা প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কোভিড-১৯ অতিমারীর সময় যে সমস্ত শিশুরা বাবা-মাকে হারিয়েছেন সেই সমস্ত শিশুদের উপকৃত হবেন এই সুবিধার ফলে। প্রধানমন্ত্রী এদিন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের স্কলারশিপ দেওয়ার পাশাপাশি পাসবুক ও আয়ুষ্মান ভারতের অধীনে স্বাস্থ্য কার্ড তুলে দিয়েছেন শিশুদের হাতে। অনাথ শিশুদের সঙ্গে কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, আপনাদের পরিবারের সদস্য হিসেবে শিশুদের সঙ্গে কথা বলছি। আমি আজ শিশুদের মাঝে থাকতে পেরে খুব স্বস্তি অনুভব করছি। পিএম কেয়ারস ফর চিলড্রেন এই সত্যের প্রতিফলন যে প্রতিটি দেশবাসী অত্যন্ত সংবেদনশীলতার সঙ্গে আপনাদের পাশে রয়েছে।” শিশুদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “কোনও প্রচেষ্টা অথবা সহায়তা আপনাদের পিতা-মাতার স্নেহের স্থান নিতে পারবে না। তাদের অনুপস্থিতিতে ‘ধরিত্রী মা’ আপনার সঙ্গে আছে। ভারত পিএম কেয়ারসের মাধ্যমে তা পূরণ করছে। এটি শুধুমাত্র একটি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান অথবা সরকারের একটি নিছক প্রচেষ্টা নয়।”
প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেছেন, “শিশুদেরও ‘পিএম কেয়ারস ফর চিলড্রেন’-এর মাধ্যমে আয়ুষ্মান স্বাস্থ্য কার্ড দেওয়া হচ্ছে, এর ফলে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যের চিকিৎসার সুবিধাও পাওয়া যাবে।” শিশুদের আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “দেশের আবেগ আপনাদের সঙ্গে আছে। এছাড়াও আপনার স্বপ্ন পূরণে গোটা দেশ আপনাদের সঙ্গে আছে। কারও যদি প্রফেশনাল কোর্সের জন্য, উচ্চ শিক্ষার জন্য শিক্ষা ঋণের প্রয়োজন হয়, তাহলে পিএম কেয়ারস সাহায্য করবে। অন্যান্য দৈনন্দিন প্রয়োজনের জন্য, প্রতি মাসে ৪ হাজার টাকার অন্যান্য স্কিমের মাধ্যমে তাদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সমস্ত শিশুরা যখন তাদের স্কুলের পড়াশোনা শেষ করবে, তখন ভবিষ্যতের স্বপ্নের জন্য আরও অর্থের প্রয়োজন হবে। এ জন্য ১৮-২৩ বছরের যুবক-যুবতীরা প্রতি মাসে স্টাইপেন্ড পাবেন এবং আপনাদের বয়স ২৩ বছর হলে একসঙ্গে ১০ লক্ষ টাকা পাবেন।”