হোজাই (অসম), ১৮ মে (হি.স.) : হোজাই জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। ইতিমধ্যে ৮০টি গ্ৰাম এবং ৯৩টি স্কুলবাড়ি বন্যার জলে প্লাবিত হয়ে গেছে। পরিস্থিতি এতই জটিল যে, বন্যাক্রান্তদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর সাহায্য চেয়েছে জেলা প্রশাসন। ইতিমিধ্যে প্রায় দুই ডজন অত্যাধুনিক নৌকা নিয়ে উদ্ধার অভিযানে নেমে পড়েছে সেনা। এদিকে বানাক্রান্ত মানুষের খোঁজখবর নিতে রাজ্যের বন ও পরিবেশ ইত্যাদি দফতরের মন্ত্ৰী তথা হোজাই জেলার অভিভাবক মন্ত্ৰী পরিমল শুক্লবৈদ্য স্থানীয় বিধায়ক রামকৃষ্ণ ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চল চষে বেড়াচ্ছেন।
ডিমা হাসাও জেলায় অবস্থিত কারবি লাংপি জলবিদ্যুৎ প্ৰকল্পের স্লুইচ গেট খুলে দেওয়ায় হোজাইয়ের বুক চিরে প্রবাহিত কপিলি নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে হোজাই সহ পার্শ্ববর্তী নগাঁও জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। প্ৰকৃতির এমন ভয়ংকর রুদ্ররূপে দিশাহারা মানুষ প্রাণ রক্ষার তাগিদে ঘরবাড়ি ছেড়ে ত্রাণশিবিরে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
জেলা দুর্যোগ মোকাবিলা দফতর সূত্রে জানা গেছে, হোজাই জেলার প্রায় ৭৮ হাজার মানুষ বন্যাক্রান্ত হয়েছেন। ৫,৮০১.৫০ হেক্টর কৃষিজমি জলে ভাসছে। ইতিমধ্যে ৩৩টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।
জানা গেছে, সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে লংকা, ডবকা এবং হোজাই রাজস্ব সার্কলের অন্তৰ্গত উত্তর লস্কর পথার, দক্ষিণ লস্কর পথার, মাণ্ডুলি, কারিখানা, ঠাইচুপ আলি, রাইকাটা, ইসলামপুর, কছারি গাঁও, চন্দনপুর, দক্ষিণ কোমরাকটা, ঠেপলাগুড়ি, নভঙা, হাটিমরা, যাঠিওরা, রাধানগর, ত্ৰিপুরাবস্তি, কেন্দুগুড়ি, ওয়ারেগেডিং, বারোফুটি, ন-মাটি, ময়নাপথার, রাজবাড়ি, যোগিজান, পূববগরি, পশ্চিম বগরি সহ ৮০টি গ্রাম প্লাবিত।
এদিকে পরিস্থিতি দেখে মন্ত্ৰী পরিমল শুক্লবৈদ্যের আশংকা, জেলার আরও বহু গ্রাম প্লাবিত হতে পারে। মন্ত্রী জানান, এখন পর্যন্ত প্ৰায় ৭৮ হাজার মানুষ আক্ৰান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩০ হাজারজন ৩৩টি ত্রাণ শিবিরে আশ্ৰয় নিয়েছেন। তাঁদের প্ৰয়োজনীয় খাদ্যসামগ্ৰী দেওয়া হচ্ছে বলেও সাংবাদিকদের জানান মন্ত্ৰী শুক্লবৈদ্য।