নয়াদিল্লি, ১৬ মে (হি.স.): ভারতের পাশাপাশি সমগ্র বিশ্বে যথোচিত ধর্মীয় মর্যাদায় সোমবার ভগবান গৌতম বুদ্ধের জন্মদিন বুদ্ধপূর্ণিমা পালিত হয়েছে। তবে দিনটি শুধু তাঁর জন্মদিন বলেই উল্লেখযোগ্য এমন নয়, এই দিনই তিনি বোধগয়ায় মহাবোধি বৃক্ষের নীচে বসে নির্বাণ লাভ করেন। নেপালের লুম্বিনীতে ৫৬৩ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে গৌতম বুদ্ধ তথা সিদ্ধার্থের জন্ম। হিন্দুধর্ম মতে বুদ্ধদেবকে বিষ্ণুর অবতার বলে মনে করা হয়। তাঁর জন্মের দিনটি বৈশাখী বুদ্ধপূর্ণিমা বা ভেসক বলেও পরিচিত।
বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে এদিন শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপ-রাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাষ্ট্রপতি শুভেচ্ছা-বার্তায় জানিয়েছেন, “সমস্ত দেশবাসী এবং সমগ্র বিশ্বে ভগবান বুদ্ধের অনুসারীদের বুদ্ধ পূর্ণিমার শুভেচ্ছা। মানবজাতিকে অহিংসা, সহানুভূতি ও সহনশীলতার পথ দেখিয়েছেন ভগবান বুদ্ধ। তাঁর শিক্ষা বর্তমানে আরও প্রাসঙ্গিক। আসুন আমরা সবাই ভগবান বুদ্ধের দেখানো পথে চলার সংকল্প করি।”
উপ-রাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, বিশ্বের বিখ্যাত ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে ভগবান বুদ্ধ অন্যতম। তিনি সত্যের বার্তা দিয়েছেন। মানুষের দুঃখের কারণ খুঁজে বের করা এবং তার থেকে মুক্তি দেওয়াই ছিল বুদ্ধের লক্ষ্য। ভগবান বুদ্ধ আমাদের কাছে আলোর উৎস, মানবিকতার পথ প্রদর্শন করে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বুদ্ধপূর্ণিমার শুভেচ্ছা-বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, “বুদ্ধ পূর্ণিমায় আমরা ভগবান বুদ্ধের নীতিগুলি স্মরণ করছি এবং সেগুলি পূরণ করার জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি। ভগবান বুদ্ধের চিন্তাধারা আমাদের বসুন্ধরাকে আরও শান্তিপূর্ণ, সমন্বয়পূর্ণ এবং টেকসই করে তুলতে পারে।” বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে এদিন মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে নর্মদা নদীতে বহু মানুষ পুণ্যস্নান করেছেন।