আগরতলা, ১০ মে (হি. স.) : ত্রিপুরায় আবারও রোহিঙ্গা ধরা পড়েছেন। বাংলাদেশ শিবির থেকে পালিয়ে দিল্লি যাওয়ার পথে আগরতলা রেল স্টেশন থেকে তিনজন রোহিঙ্গাকে পুলিশ আটক করেছে। তাঁদের মধ্যে দুইজন নাবালিকা এবং একজন পুরুষ রয়েছেন। ফলে, ওই ঘটনা নারী পাচারের সাথে যুক্ত থাকার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় সম্প্রতি রোহিঙ্গার গতিবিধি অনেকটাই বেড়ে গেছে।
আমতলী থানার পুলিশ জানিয়েছে, আজ সিদ্ধি আশ্রম এলাকায় তিনজনকে সন্দেহজনক ঘোরাফেরা করছেন খবর পেয়ে বিট পুলিশ এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের কর্মীরা তাঁদের আটক করেন। তাঁদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, তিনজনই মায়ানমারের বাসিন্দা এবং বাংলাদেশের শিবির থেকে পালিয়ে এসেছেন।
ধৃত জনৈক নাবালিকা জানান, দিল্লিতে বোনের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যেই তাঁরা ত্রিপুরায় এসেছেন। ট্রেনে চেপে তাঁরা দিল্লি যাবেন স্থির করেছিলেন। কিন্ত, স্টেশনের কাছে থেকে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় এনেছে। মহম্মদ ফারুক ওই দুই নাবালিকাকে দিল্লি নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, একই গ্রামের বাসিন্দা বলেই ওই নাবালিকাকে দিল্লি বোনের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলাম।
পুলিশ জানিয়েছে, তিনজনের কাছ থেকে আপত্তিকর কিছুই পাওয়া যায়নি। কিছু কাগজপত্র পাওয়া গেছে। সমস্ত কিছুই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আগামীকাল তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। তিনি বলেন, ওই তিনজন বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরে আশ্রিত ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে দিল্লি যাওয়ার জন্য ত্রিপুরায় এসেছেন।
তবে, ওই ঘটনা নারী পাচার চক্রের সাথে যুক্ত রয়েছে, ওই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে ত্রিপুরা পুলিশ। কারণ, দুই নাবালিকার সাথে ধৃত যুবক তাদের আত্মীয় নন। তাছাড়া, ভাষার ক্ষেত্রেও দুই নাবালিকার সাথে ওই যুবকের তফাত রয়েছে। ফলে, তাদের গতিবিধি যথেষ্ট সন্দেহজনক বলেই মনে করছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় সম্প্রতি রোহিঙ্গার গতিবিধি অনেকটাই বেড়ে গেছে। দুই মাস সময়ের অন্তরে প্রায় দুই শতাধিক রোহিঙ্গা ত্রিপুরায় পুলিশ আটক করেছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা ছিলেন। তাই, আজকের ঘটনায় বিস্তারিত তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে।

