নয়াদিল্লি, ১০ মে (হি.স.): শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। শেষ ৬ ঘণ্টায় আরও শক্তিক্ষয় হয়েছে ‘অশনি’-র। আগামী ৩৬ ঘণ্টায় আরও শক্তিক্ষয় হবে ঘূর্ণিঝড়ের। ওডিশা উপকূলের কাছে শক্তি হারাবে ‘অশনি’। তবে, অশনি-র প্রভাবে মঙ্গলবার সকালে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজল অন্ধ্রপ্রদেশ, এদিন সকালে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম ও বিশাখাপত্তনমে বৃষ্টি হয়েছে, সঙ্গে হাওয়াও বয়েছে। উত্তাল ছিল পুরীর সমুদ্র। আগামী দু’দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ভারতের রাজ্য তেলেঙ্গানায়।
প্রবল সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় অশনি ধীরে ধীরে শক্তি হারিয়ে দুর্বল হয়ে পড়ায় পশ্চিমবঙ্গে ঝড়ের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসছে। অশনি এখন পশ্চিম-মধ্য ও সংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ওপর অবস্থান করছে। ৬ ঘন্টায় ৭ কিলোমিটার গতিবেগে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার ভোররাত আড়াইটে নাগাদ এই ঝড় অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়ার ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব, বিশাখাপত্তণমের ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্ব, গোপালপুরের ৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং পুরীর ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিম দূরত্বে ছিল। এটি আরও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ উত্তর অন্ধ্র ও সংলগ্ন ওডিশা উপকূলের অদূরে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে পৌঁছবে। তারপর সেটি উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে উত্তর অন্ধ্র ও ওডিশা উপকূলের কাছে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় সেটি আরও শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
এদিকে, অশনি-র প্রভাবে মঙ্গলবার কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও নদীয়া জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়াও বয়েছে। মৎস্যজীবীদের মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সমুদ্রে পাড়ি দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপকূলবর্তী এলাকায় মঙ্গলবার থেকে ১৩ মে অবধি মাছ ধরা ও পর্যটকদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে।

