হাফলং (অসম), ৯ মে (হি.স.) : ডিমা হাসাও জেলা সদর শহর হাফলঙে বেশ কিছুদিন ধরে চোরের উপদ্রপ বেড়েছে। শহরের বিভিন্ন দোকানে চোরের দল হানা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সামগ্রী। রবিবার রাতেও হাফলং ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের পাশে দাস এন্টারপ্রাইজে চোরের দল হানা দিয়ে বেশ কিছু মোবাইল ফোনের হ্যান্ডসেট ও নগদ টাকা নিয়ে গেছে।
দাস এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী স্বপন দাস জানান, আজ সোমবার সকালে দোকানে এসে দেখেন তাঁর দোকানের তালা ভাঙা। সঙ্গে সঙ্গে তিনি হাফলং সদর থানার পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ দোকানে এসে দেখেন, দোকানের সামনে লোহার রড ভেঙে প্রথম দরজার চারটি তালা ভাঙা হয়েছে। এর পর চোরেরা ভেতরে লোহার দরজার তালা ভেঙে ঢুকে মোট পাঁচটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেট সহ নগদ টাকা নিয়ে গেছে। স্বপনবাবু জানিয়েছেন, তাঁর দোকান থেকে পাঁচটি মোবাইল সেট চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দোকানে মজুত নগদ দেড় হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চোরের দলটি। তিনি জানান, যে পাঁচটি মোবাইল হ্যান্ডসেট চোরের দল হাতিয়ে নিয়েছে সেই মোবাইল হ্যান্ডসেটগুলির মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এই চুরির ঘটনা নিয়ে দাস এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী স্বপন দাস হাফলং থানায় এক এজাহার দাখিল করেছেন।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন থেকে হাফলং শহরে চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে। চোরের দল টার্গেট করছে শহরে অবস্থিত বাজারের দোকান। গত কয়েকদিনে এভাবে হাফলং শহরে চোরের দল হানা দিয়ে বেশ কয়েকটি দোকান থেকে নগদ টাকা, বিভিন্ন সামগ্রী চুরি করেছে। হাফলং শহরে বেশ ড্রাগস সহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ বেড়েছে। ড্রাগসে আসক্ত হয়ে যুবসমাজ বিভিন্ন অসামাজিক কাজ সহ চুরির মতো ঘটনায় জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠছে। রাতে শহরে পুলিশের কোনও টহলদারি নেই বলে শহরের আমজনতা অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন। পুলিশের ঢিলেঢালা ব্যবস্থার সুযোগ নিয়েই হাফলং শহরে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিছুদিন আগে হাফলং শহরের এভাবে রাতের বেলা একটি গাড়ি ও মটর সাইকেল জ্বালিয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতকারীরা। এখন পর্যন্ত ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে হাফলং পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি বলেও অভিযোগ করেছে ওয়াকিবহাল মহল।