আগরতলা, ৩০ এপ্রিল(হি. স.): প্রযুক্তি শিল্পের জন্য সীমানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে না। তাই, ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে প্রযুক্তি শিল্পে বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সেদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দফতরের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তাঁর কথায়, বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, চট্টগ্রাম এবং কুমিল্লায় আইটি পার্ক স্থাপন হচ্ছে। সেখানে ত্রিপুরা থেকে ব্যবসায়ীরা প্রযুক্তি শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন। তাঁদের জন্য বাংলাদেশ সরকার সমস্ত সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করবে।
ত্রিপুরায় ডিজিটাল বাংলাদেশ আইটি বিজনেস সামিট-২০২২ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এসেছিলেন সেদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দফতরের প্রতি মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আজ বাংলাদেশে ফিরে যাবার সময় আখাউড়া সীমান্তে শূন্য রেখায় দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি প্রযুক্তি শিল্পে ত্রিপুরায় নতুন দ্বার উন্মোচিত হওয়ার সম্ভাবনার বিষয়ে বলেছেন। তাঁর কথায়, বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সংস্থা ত্রিপুরায় দারুন ব্যবসা করছে। সে মোতাবেক প্রযুক্তি শিল্পেরও ত্রিপুরায় প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, বিজনেস সামিটে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০০ প্রযুক্তি সামগ্রী প্রস্তুতকারক এবং রপ্তানিকারক সংস্থা অংশ নিয়েছে। তাঁরা ত্রিপুরায় ব্যবসার প্রসার বৃদ্ধি সম্ভাবনাগুলি খতিয়ে দেখেছে। তাঁর দাবি, বাংলাদেশের সাথে ত্রিপুরার আত্মীক সম্পর্ক রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরা সমস্ত রকমভাবে বাংলাদেশকে সহায়তা করেছে। ফলে, বাংলাদেশ ও ত্রিপুরা একে অপরের সহযোগিতায় বাণিজ্যের প্রসার বৃদ্ধি ঘটাবে।
এদিন তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশে ১৩৪টি আইটি পার্ক, হাইটেক পার্ক, সফটওয়ার পার্ক স্থাপন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে, ত্রিপুরা সীমান্ত লাগোয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট জেলায় আইটি পার্কগুলিতে প্রযুক্তি শিল্পে বিনিয়োগের দারুন সুযোগ রয়েছে। ত্রিপুরার ব্যবসায়ীরা সেখানে প্রযুক্তি শিল্পে বিনিয়োগে এগিয়ে আসুন। বাংলাদেশ সমস্ত রকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।তাঁর মতে, ভারতের অনেক সংস্থা বাংলাদেশে প্রযুক্তি শিল্পে কাজ করছে। তাঁদের প্রচুর গ্রাহকও রয়েছে। ফলে, ত্রিপুরার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে প্রযুক্তি শিল্পে বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে ভীষণ উপকৃত হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।