পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের শোষণের বদলে শ্রমিকরা এখন নানা সুবিধা পাচ্ছেন : সাংসদ ডা: সাহা
আগরতলা, ১৬ এপ্রিল (হি. স.) : বিনা আন্দোলনেই ত্রিপুরায় চা শ্রমিকদের বেড়েছে মজুরি। মহিলাদের জন্য হয়েছে ৩০০ শতাংশ সংরক্ষণ। অথচ, পূর্বতন সরকারের আমলে শুধু দেখানো হয়েছে দরদ, কার্যত তাঁদের শোষণ চলেছে। আজ শ্রমিকদের নিয়ে আলোচনা সভায় এভাবেই বামফ্রন্ট সরকারকে সমালোচনায় বিঁধেছেন বিজেপি প্রদেশ সভাপতি তথা সাংসদ ডা: মানিক সাহা। তাঁর দাবি, শ্রমিক কল্যাণে কেন্দ্রের তৈরি ই-পোর্টালের জুড়ি মেলা ভার।
প্রসঙ্গত, ডঃ বি আর আম্বেদকরের ১৩১ তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে সাত দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এরই অঙ্গ হিসেবে শনিবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক কল্যাণ শীর্ষক আলোচনা সভা। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি প্রদেশ সভাপতি ডাঃ মানিক সাহা, রাজিব ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা।
এদিন ডা: মানিক সাহা বর্তমান সরকারের শ্রমিক কল্যাণে বিভিন্ন কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে রাজ্য সরকার বর্তমানে শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। ই- শ্রম পোর্টালের মাধ্যমে শ্রমিকদের নানান সুবিধার বর্ণনা দেন তিনি। তাঁর দাবি, ১৬ থেকে ৫৯ বছরের জনগণ ই-শ্রম পোর্টালের মাধ্যমে ব্যাপক সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন।
তাঁর কথায়, ত্রিপুরায় বর্তমানে ৮ লক্ষ ১৮ হাজার ৬৭৮ জন ই-শ্রমের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন। দেশে এই সংখ্যা ২৭ কোটি ২৩ লক্ষ ৯৯ হাজার ৪৬৪ জন। ডা: মানিক সাহা বলেন, ই-শ্রমের আওতায় নিরাপত্তা বীমা যোজনায় ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে সামাজিক নিরাপত্তা।
মানিক সাহার দেওয়া তথ্যে, এখনো পর্যন্ত কুড়ি লক্ষ দরখাস্ত জমা পড়েছে। যার মধ্যে ৭ লক্ষ ৫২ হাজার ১৯১ জনের দরখাস্ত মঞ্জুর করা হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ ১৮ হাজার ৭৫১ জনকে ঋণ প্রদান করেছে সরকার। এছাড়াও সঠিক সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করলে ৭ শতাংশ সুদে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। অনলাইনের মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ করলে দেওয়া হচ্ছে ১২০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক।
এদিন মানিক সাহা আরো বলেন, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর চা শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। চা শ্রমিকদের মজুরি ১১৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৭৬ টাকা করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিগত সরকার নিজেদের শ্রমিক দরদী সরকার বললেও বাস্তবে তারা শুধু শ্রমিকদের শোষণ করেছে। কিন্তু বর্তমান সরকার শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সার্বিক উন্নতি ঘটাচ্ছে। চা শ্রমিকদের প্রধানমন্ত্রী প্রদান করছেন বাড়ি থেকে শুরু করে শৌচালয়, পানীয় জল।
সাথে তিনি যোগ করেন, পূর্বতন বাম সরকারের সময় আন্দোলন ছাড়া কোন কিছুই পাওয়া যেত না। কিন্তু বর্তমান সরকার বিনা আন্দোলনেই মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। জনজাতি এলাকায় একলব্য স্কুলের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেখানো পথে ত্রিপুরা সরকার কাজ করে আগামী দিনে রাজ্যের জনগণের আরো উন্নতি সাধন করবে বলে সাংসদ ডা: মানিক সাহা আশা প্রকাশ করেছেন।