হাইলাকান্দি (অসম), ২৭ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : তিন প্রাক্তন পুর সদস্যের ভাগ্য নির্ধারণ হবে এবার ভোটে। তিনজনই মহিলা। জনতার চোখ নিবদ্ধ এই তিন প্রমিলার দিকে। ১৬ সদস্য-বিশিষ্ট হাইলাকান্দি পুরসভায় এই তিনজন ইতিমধ্যে জয়ের স্বাদ উপভোগ করেছেন। এবার ২০২২-এর পুরভোটে ফের তাঁরা একাদশ শহিদ সরণির পুরসভায় যাওয়ার ছাড়পত্র জোগাড় করতে মরিয়া প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই তিন প্রাক্তন পুর সদস্যের একজন শিল্পী দাস। তিনি ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী। আরেকজন মণিকা দাস। তিনি ৮ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী। অপরজন লাবি নাথ। তিনিও নির্দল হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। এই তিন প্রমিলা এর আগের নির্বাচনে তাঁদের ‘আসন’ থেকে জয়ী হয়েছিলেন। এবার ফের আসরে অবতীর্ণ হয়েছেন তাঁরা। বলা বাহুল্য, একমাত্র এই তিন প্রমিলা ছাড়া এবার পুর ভোটের ময়দানে সবাই নয়া মুখ।
২০০৯ সালে পুর নির্বাচনে ১৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন লাবি নাথ। এবারও তিনি এই ওয়ার্ডে ভারতীয় জনতা পার্টির টিকিটের প্রবল দাবিদার ছিলেন। কিন্তু দল তাঁকে টিকিট দেয়নি। ফলে বিজেপি ছেড়ে নির্দল প্রার্থী হয়েই জনতার আশীর্বাদ পেতে ময়দানে নেমেছেন লাবি। এই ওয়ার্ডে বিজেপি টিকিট দিয়েছে রাজেশ মালাকারকে।
২০০৯ সালে ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পুরসভার সদস্য হয়েছিলেন শিল্পী দাস। এবার তিনি তাঁর ৭ নম্বর ওয়ার্ডেই নির্দল প্রার্থী হয়ে আসরে অবতীর্ণ হয়েছেন। ২০১৫-র পুর নির্বাচনে শিল্পী দাসের স্বামী অরুণকুমার দাস ‘নির্দল’ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শেষ হাসি হেসেছিলেন। এবার স্বাভাবিকভাবে ৭ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় অরুণবাবু তাঁর সহধর্মিণী শিল্পী দাসকে ভোটের ময়দানে অবতীর্ণ করেছেন।
আরেক নির্দল প্রার্থী হচ্ছেন মণিকা দাস। তিনি এবার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী। মণিকা দাস ওই ওয়ার্ডেই একবার জয়ের স্বাদ উপভোগ করেছেন। এবার নির্দল প্রার্থী হয়ে পুরভোটে নেমে জনতার দরবারে আশীর্বাদ চাইছেন।
হাইলাকান্দির ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে একমাত্র এই তিন প্রমিলা ছাড়া সবাই (পুরুষ-মহিলা) ভোটের ময়দানে নয়া মুখ। মর্যাদাপূর্ণ ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ফের পুরসভায় যাওয়ার ছাড়পত্র আদায় করতে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছেন নির্দলীয় শিল্পী দাস। অবশ্য এক্ষেত্রে তাঁর স্বামী পেশায় মুহুরী, দক্ষ নেতা হিসেবে পরিচিতি অরুণকুমার দাস প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসমর্থন আদায়ে স্ত্রীকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। বিজেপি-টিকিটের দাবিদার ছিলেন লাবি নাথ।

