নয়াদিল্লি, ২৫ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি শক্তিই আমাদের প্রধান শক্তিমত্তা। বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের প্রতিরক্ষা সেক্টরে এই শক্তি আমরা যত বেশি ব্যবহার করব নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা ততই নিশ্চিত হব। শুক্রবার বাজেটোত্তর “প্রতিরক্ষা আত্মনির্ভরতা-কল টু অ্যাকশন’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমরা যখন অস্ত্র ও গোলাবারুদ আমদানি করি, তখন প্রক্রিয়াটি এতটাই দীর্ঘ হয় যে সেগুলি আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে পৌঁছানোর পর অনেক পুরনো হয়ে যায়। ‘আত্মমনির্ভর ভারত অভিযান’ এবং মেক ইন ইন্ডিয়া-র মধ্যে এর সমাধান নিহিত রয়েছে।”
বাজেট প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “এই বাজেট গবেষণা, ডিজাইন ও উন্নয়ন থেকে উৎপাদন পর্যন্ত একটি প্রাণবন্ত ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার একটি ব্লুপ্রিন্ট। প্রতিরক্ষা বরাদ্দের প্রায় ৭০ শতাংশ শুধুমাত্র দেশীয় শিল্পের জন্য রাখা হয়েছে। এখনও অবধি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ২০০টিরও বেশি প্রতিরক্ষা প্ল্যাটফর্ম এবং সরঞ্জামের স্বদেশীকরণের তালিকা প্রকাশ করেছে।” মোদী বলেছেন, “এই তালিকা ঘোষণার পর, দেশীয় ক্রয়ের জন্য প্রায় ৫৪ হাজার কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ ছাড়া ৪.৫ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত ক্রয় প্রক্রিয়া বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। তৃতীয় তালিকা শীঘ্রই আসতে চলেছে।”
ওয়েবিনারে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, “নিরাপত্তার প্রধান নীতি হচ্ছে আপনার নিজস্ব কাস্টমাইজড এবং অনন্য সিস্টেম থাকতে হবে। যদি ১০টি দেশে একই ধরণের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম থাকে, তাহলে আপনার প্রতিরক্ষা বাহিনীর কোনও স্বতন্ত্রতা থাকবে না। অনন্যতা এবং আশ্চর্য উপাদান শুধুমাত্র তখনই সম্ভব যখন আপনার নিজের দেশে সরঞ্জামগুলি তৈরি হয়।” প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, “বিগত কয়েক বছরে ভারত নিজের প্রতিরক্ষা সেক্টরকে ‘আত্মনির্ভরতা’-এর ওপর জোর দিচ্ছে। আপনারা এবারের বাজেটেও এক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি দেখতে পারেন।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, “এমনকি ব্রিটিশ শাসনের সময় এবং স্বাধীনতার ঠিক পরে, আমাদের প্রতিরক্ষা উৎপাদন শক্তি খুব বেশি ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে, ভারতে তৈরি অস্ত্র একটি প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল। যাইহোক, পরবর্তী বছরগুলিতে, এই শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে, এটি দেখিয়ে দিয়েছে যে ভারতের সামর্থ্যের অভাব ছিল না।”