Tripura Agriculture Minister : কৃষকদের আধুনিক কৃষিকাজে পারদর্শী করে তুলতে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে : ত্রিপুরার কৃষিমন্ত্রী

আগরতলা, ১৯ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : ভারতবর্ষ কৃষি প্রধান দেশ। দেশের অর্থনীতির বিকাশে কৃষকের আয় বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার কাজ করছে। কৃষির বিকাশ ও কৃষকদের কল্যাণে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার ও কৃষকদের আধুনিক কৃষিকাজে পারদর্শী করে তুলতে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। এই লক্ষ্যেই রাজ্যের বর্তমান সরকার প্রতিটি কৃষি মহকুমায় কৃষি জ্ঞানার্জন কেন্দ্র স্থাপন করছে। আজ করবুকে কৃষি জ্ঞানার্জন কেন্দ্রের উদ্বোধন করে একথা বলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায়।
তিনি বলেন, কৃষকদের কৃষিকাজের সাহায্যার্থে কেন্দ্রীয় সরকার পিএম কিষাণ যোজনায় বছরে ৬ হাজার টাকা করে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রদান করছে। রাজ্যের আড়াই লক্ষের বেশি কৃষক এই সুবিধা পেয়েছেন। করবুক মহকুমায় ১০ হাজার ৫৭৫ জন প্রান্তিক কৃষক এই আর্থিক সহায়তা পেয়ে উপকৃত হয়েছেন। বিশেষ করে এবছর যারা সব্জি চাষ করেছেন এবং অকাল বর্ষণের জন্য ক্ষতি হয়েছেন তারাও উপকৃত হয়েছেন।


তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছায় রাজ্য সরকার বর্গাদার কৃষকদের কৃষি কাজে আর্থিক সহায়তার লক্ষ্যে ঋণের ব্যবস্থাও করেছেন। তিনি বলেন, কৃষকদের জমিতে কি কি ফসল কোন কোন সময় ফলানো প্রয়োজন তারজন্য দপ্তরের তরফ থেকে মাটি পরীক্ষা করানো হচ্ছে। আগে কখনও তা হয়নি। এমএসপিতে সরকার সারা রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছে। কৃষকরা উৎসবের মেজাজে ধান বিক্রি করছেন যা এক বলিষ্ট পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ফসল নষ্ট হয়ে গেলে, আর্থিক ক্ষতি থেকে উত্তরণের জন্য ফসল বীমা যোজনা চালু করেছে সরকার।


তাঁর দাবি, কৃষি এবং পশুপালন যেহেতু গ্রামীণ অর্থনীতি বিকাশে প্রধান সহায়ক তাই কৃষিকে এখন থেকে পশুপালনের সাথেও যুক্ত করা হয়েছে। জমিতে কৃষি কাজের পাশাপাশি পুকুরে মাছ চাষ ও প্রাণী পালনের মাধ্যমে রাজ্যের আর্থিক বিকাশের দিকে জোর দিয়েছে বর্তমান সরকার। কৃষিমন্ত্রী বলেন, আগামীদিনে কৃষি কাজে আধুনিক যন্ত্রপাতির অঙ্গ হিসেবে ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি কাজের সময় ও খরচ কিভাবে বাঁচানো যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে সরকার কাজ করছে।


তিনি বলেন, করবুক মহকুমার কৃষকগণ আদা, কাঁচালঙ্কা ও তরমুজ চাষ করে মহকুমাকে বিশেষ পরিচিতি এনে দিয়েছেন। তারজন্য তিনি উপস্থিত সকল কৃষকদের ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও তিনি কৃষকদের কৃষিকাজের পাশাপাশি দিনের একটা সময় কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্রে এসে কৃষক ও অধিকারিকদের সাথে মতবিনিময় করার জন্য আবেদন রাখেন। রাজ্যের ৩৭টি কৃষি মহকুমায় এই ধরনের কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্র খোলার পাশাপাশি প্রতিটি ব্লক এলাকায় একটি করে এই ধরনের সেন্টার খোলার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের।
এদিন অনুষ্ঠানে বিধায়ক রঞ্জিত দাস বলেন, কৃষকদের দুয়ারে সুযোগ পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছে রাজ্য সরকার। সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে ও কৃষিতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিকরণ এবং উৎপাদন খরচ হ্রাস করার উদ্যেশ্যে এই নলেজ সেন্টার। যেখান থেকে কৃষকরা জ্ঞান অর্জন করে তাদের নিজস্ব জমিতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করবেন এবং রোজগার আরও বৃদ্ধি করতে পারবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মূল অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্রটির ফলক উন্মোচন করে সমস্ত ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *