আগরতলা, ১৯ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হল। বিমান পরিবহণে বৈপ্লবিক যুগের সূচনা হচ্ছে। আগরতলা থেকে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা। উড়ান প্রকল্পে আগরতলা বিমানে বাংলাদেশের ঢাকা ও চট্টগ্রামের সাথে জুড়তে চলেছে। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক ওই প্রস্তাব দিয়েছে। মহারাজা বীর বিক্রম বিমান বন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবন উদ্বোধনের স্বল্প সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবার অনুমোদন ত্রিপুরার জন্য নিঃসন্দেহে বিরাট প্রাপ্তি, তাতে কোন সন্দেহ আছে বলে মনে হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এক টুইট বার্তায় আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু করার অনুমোদন দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়েছেন।
উড়ে দেশ কি আম নাগরিক (উড়ান) প্রকল্প মোদী সরকারের যুগান্তকারী প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক ওই প্রকল্পে আগরতলা থেকে ঢাকা এবং আগরতলা থেকে চট্টগ্রাম বিমান পরিসেবা চালু করার প্রস্তাব দিয়েছে। গত ১০ নভেম্বর কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বাংলাদেশের সাথে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
উড়ান প্রকল্পে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক সর্ব মোট ১৩টি নতুন রুটের প্রস্তাব দিয়েছে। তাতে, আগরতলা-ঢাকা-আগরতলা, আগরতলা-চট্টগ্রাম-আগরতলা, গুয়াহাটি-ব্যাংকক-গুয়াহাটি, গুয়াহাটি-ঢাকা-গুয়াহাটি, গুয়াহাটি-কাঠমান্ডু-গুয়াহাটি, গুয়াহাটি-ইয়াঙ্গুন-গুয়াহাটি, গুয়াহাটি-হানুই-গুয়াহাটি, ইম্ফল-মান্দালায়-ইম্ফল, ইম্ফল-ব্যাংকক-ইম্ফল, ইম্ফল-কুনমিং-ইম্ফল, ভুবনেশ্বর-ব্যাংকক-ভুবনেশ্বর, ভুবনেশ্বর-আবু ধাবি-ভুবনেশ্বর এবং ভুবনেশ্বর-সিঙ্গাপুর-ভুবনেশ্বর রুট রয়েছে।
কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, উড়ান প্রকল্পে দেশের ছোট শহরগুলিকে যুক্ত করার সাথে এখন প্রতিবেশী রাষ্ট্রকেও ওই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। মূলত, পরিবহণ ক্ষেত্রকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির প্রশ্নে উড়ান প্রকল্প সাধারণ মানুষের জন্য বিমানে যাতায়াত হাতের নাগালের মধ্যে নিয়ে এসেছে।