আগরতলা, ১৬ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : ত্রিপুরায় করোনার প্রকোপ ক্রমশ স্বাভাবিক হওয়ার মধ্যেই ওমিক্রন প্রজাতির ভাইরাসে সংক্রমিতের খোঁজ মিলেছে। ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত ১২০ জন ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক আশ্বস্ত করেছেন, চিন্তার কোন কারণ নেই।
স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, জানুয়ারি মাসে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োমেডিকেল জেনমিক্স (এনআইবিজি) কল্যাণীতে করোনা সংক্রমণের ২৩১ টি নমুনা পাঠানো হয়েছিল। তাতে, ১২০টি নমুনায় করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন প্রজাতির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে। ওই নমুনাগুলির মধ্যে ছয়টি ডিসেম্বর মাসে সংগ্রহ করা হয়েছিল।
স্বাস্থ্য দফতর ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি ৬৯টি এবং ১৬ থেকে ৩১ জানুয়ারি ১৬২টি করোনা সংক্রমণের নমুনা কল্যাণীতে পাঠিয়েছিল। তাতে, প্রথম ধাপে পাঠানো নমুনায় ৮টি এবং দ্বিতীয় ধাপে পাঠানো ১১২টি নমুনায় ওমিক্রনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
ওমিক্রন প্রজাতির সংক্রমণ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুসারে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় ৭৬টি, সিপাহীজলা জেলায় ১৪টি, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ১০টি, খোয়াই জেলায় ৬টি, ঊনকোটি ও উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ৫টি করে এবং গোমতি জেলায় ৪টি ওমিক্রন প্রজাতির সংক্রমিতের খোঁজ পাওয়া গেছে। শুধু ধলাই জেলায় একজনও ওমিক্রন প্রজাতিতে সংক্রমিত হননি।
স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকের মতে, ত্রিপুরায় ওমিক্রনে আক্রান্তের খোঁজ মিললেও ভয়ের কোন কারণ নেই। কারণ, বর্তমানে ত্রিপুরায় দৈনিক সংক্রমণের হার কমে দাঁড়িয়েছে ০.৩৫ শতাংশ। করোনা আক্রান্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে হয়েছে মাত্র ১৪৭। ওই আধিকারিকের দাবি, করোনার ডেল্টা প্রজাতির তুলনায় ওমিক্রন অধিক ক্ষতিকারক নয়। তাছাড়া, সংক্রমণের হারও পাঁচ শতাংশের নীচে নেমেছে। তাই, অযথা দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।