কলকাতা, ৭ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : মামলাকারীর সন্তান স্কুলে যায় কি না, সোমবার তা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্টের শুনানি চলাকালীন বেঞ্চ। কার্যত স্কুল খোলা নিয়ে ‘অযথা’ বিতর্ক নয়— সরাসরি না বলেও বুঝিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
এ ব্যাপারে রাজ্যের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলা আদালত শুধু খারিজই করেনি, মামলাকারীকে পাল্টা ভর্ৎসনাও করেছে। ওই মামলাকারী পড়ুয়াদের টিকাকরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে অনলাইন ক্লাস জারি রাখার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। আদালত জানতে চায়, ছাত্র-ছাত্রীদর নিয়ে মামলাকারীর চিন্তা কি তাদের অভিভাবকের থেকেও বেশি?সোমবার হাই কোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে ওই মামলা। শুনানি চলাকালীন বেঞ্চ কার্যত মামলাকারীর আইনজীবীকে তুলোধোনা করে।
ওই মামলা নিয়ে মামলাকারীর পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী ঋজু ঘোষাল। তিনি আদালতকে বলেন, রাজ্য অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে আসতে বলেছে ঠিকই, তবে তাদের প্রত্যেকের টিকাকরণ হয়েছে কি না তা স্পষ্ট নয়। তাঁর যুক্তি ছিল, যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ২০০৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যে সব ছাত্র-ছাত্রীর জন্ম তারা টিকা পাবে না, তাই পড়ুয়াদের অনেককেই টিকা না নিয়ে স্কুলে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। এর জবাবেই আদালতের দুই বিচারপতি জানতে চান, ‘‘আপনি কি অভিভাবকদের থেকেও বেশি চিন্তিত?’’ আদালত এর পর আইনজীবীর কাছে জানতে চান, মামলাকারীর সমর্থনে কোনও অভিভাবকের বক্তব্য নেই কেন?