নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ নভেম্বর৷৷ আবারও ত্রিপুরা রেকর্ড সংখ্যক ভোটগ্রহণের নজির স্থাপন করতে চলেছে৷ এখন পর্যন্ত ত্রিপুরায় পুর ও নগর সংস্থার নির্বাচনে ৮১.৫৪ শতাংশ ভোটগ্রহণ করা হয়েছে৷ সমস্ত জায়গা থেকে সম্পূর্ণ হিসাব এই খবর লেখা পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে এসে পৌঁছয়নি৷ তাই, ধারণা করা হচ্ছে ভোটের হার আরও বাড়বে৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ৪ লক্ষ ২ হাজার ৪৬ জন ভোটার ভোট গ্রহণের হিসেব মিলেছে৷ তাঁদের মধ্যে, পুরুষ ২ লক্ষ ৩ হাজার ১৯২ জন, মহিলা ১ লক্ষ ৯৮ হাজার ৮৪৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৫ জন ভোটার রয়েছেন৷
আজ ১৪টি পুর নগর সংস্থায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ ধর্মনগর পুর পরিষদে ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৪টিতে, পানিসাগর নগর পঞ্চায়েতে ১৩টি ওয়ার্ডে, কৈলাসহর পুর পরিষদে ১৭টি ওয়ার্ডে, কুমারঘাট পুর পরিষদে ১৫টি ওয়ার্ডে, আমবাসা পুর পরিষদে ১৫টি ওয়ার্ডে, খোয়াই পুর পরিষদে ১৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৮-টিতে, তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদে ১৫টি ওয়ার্ডে, জিরানিয়া নগর পঞ্চায়েতে ১১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১-টিতে, আগরতলা পুর নিগমে ৫১টি ওয়ার্ডে, মেলাঘর পুর পরিষদে ১৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১টিতে, সোনামুড়া নগর পঞ্চায়েতে ১৩টি ওয়ার্ডে, অমরপুর নগর পঞ্চায়েতে ১৩টি ওয়ার্ডে, বিলোনিয়া পুর পরিষদে ১৭টি ওয়ার্ডে এবং সাব্রুম নগর পঞ্চায়েতে ৯-টি ওয়ার্ডে আজ ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন৷
উৎসবের মেজাজেই আজ ত্রিপুরায় পুর ও নগর সংস্থা নির্বাচন শুরু হয়েছে৷ সকাল থেকেই দীর্ঘ লাইনে ভোটারদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে৷ পুর ভোটকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে৷ ভোটার এবং ভোটকর্মী ব্যতীত অন্য কাউকেই পুলিশ ভোট কেন্দ্রের ২০০ মিটারের ভেতরে থাকতে দেয়নি৷ সকালে তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রের বাইরে কয়েকজন উৎসাহী বাইক আরোহী দাঁড়িয়েছিলেন৷ পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে তাড়িয়েছে৷
প্রসঙ্গত, আগামী ২৮ নভেম্বর ভোটের ফলাফল ঘোষণা হবে৷ নির্বাচনের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত সুরক্ষাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে৷ মোট ৬৪৪টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে৷ এতে ৭৮৫ জন প্রার্থীর ভাগ্য আজ ভোটের বাক্সে বন্দি হয়েছে৷ এদিকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোভিড বিধি কঠোরভাবে পালন করা হচ্ছে৷ সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রমেশ যাদব জানিয়েছেন, নির্বাচনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা হয়েছে৷
বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া ত্রিপুরায় ভোটগ্রহণ পর্ব শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে৷ বিরোধীরা ভোট প্রহসনের অভিযোগ এনেছেন৷ তেমনি শাসক দল বিজেপিও ওই অভিযোগ খণ্ডন করে দাবি করেছে, ভোট শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে৷ তবে, বরাবরের মতোই এবারও ত্রিপুরায় রেকর্ড সংখ্যক ভোট হয়েছে৷ গত পুর ও নগর সংস্থা নির্বাচনেও ২০১৫ সালে ৮০ শতাংশের অধিক ভোট গ্রহণ হয়েছিল৷ এ বছর এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ভোটের হার ৮১.৫৪ শতাংশ৷ তবে, ওই হার আরও বাড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷