Elephant poaching : হাতির তান্ডবে দিশেহারা কল্যাণপুরবাসী

নিজস্ব প্রতিনিধি, কল্যাণপুর ১৯ নভেম্বর৷৷ এখন আর কোন জঙ্গি আক্রমণ নেই রাজ্যে৷ কল্যাণপুরে ও এখন কোন জঙ্গি আক্রমণ নেই৷ তবে বন্য দাঁতালের তাণ্ডবে দিশেহারা উপজাতীয অংশের মানুষ কি অউপজাতী অংশের মানুষ৷ বেশ কয়েক বছর ধরেই অতর্কিতে গেরিলা কায়দায় আক্রমণ চালায় ধানি জমিতে বাড়িঘরে এবং ফসলের জমিতে৷


শুধু রাত্রিতে নয় এখন দিনের বেলায় নেমে আসে দাঁতালের দল৷ বেশ গর্জন করে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যায়৷ আক্রমণের কারণে ভীত-সন্ত্রস্ত জনজাতি অংশের মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন৷ ঠিক কী করবেন বুঝে উঠতে পারেন না৷ চোখের সামনে যখন নিজের ঘাম পরিশ্রম দিয়ে তৈরি করা ফসল নষ্ট করে ফেলে বন্যহাতির দল তখন কান্না ছাড়া আর কিছুই থাকে না৷ প্রত্যেক এই বলে থাকেন এই আক্রমণ থেকে পরিত্রান চাই৷কিন্তু হচ্ছে টা কোথায় প্রতিবছর এই ধানের মরসুমে বন্য হাতির দল পাহাড় থেকে নেমে আসে কোথাও পাঁচটি কোথাও ছয়টি কোথাও আটটি দল তার মধ্যে রয়েছে ছোট বড় হাতি বন্যহাতির দল৷ কারণ এরই মধ্যে অনেকেই এই ধানী জমি বা ফসল চাষাবাদ করে তাদের সংসার প্রতিপালন করেন হাতির আক্রমণের কারণে ফসল নষ্ট হয় ধানী জমি নষ্ট হয় তখন চিন্তায় পড়ে যান ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের সংসার কিভাবে প্রতিপালন করবে৷ একদম অসহায় হয়ে পড়েন৷ এই মরশুমে প্রতিদিন রাতে ঘুম হয় না অনেকেরই৷ কেননা কখন চলে আসে হাতির দল৷

কৃষকদের পাকাঁ ধান খেয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে কৃষকদের মাথায় হাত৷জমি থেকে ধান কেটে বাড়িতে নেওয়ার সময় হয়েগেছে তখন বন্যহাতি দল বেধে গেরিলা কায়দায় আক্রমন করে দেখলে মনে হয় কেউ যেন ধান গুলি কেটে বাড়িতে নিয়ে গেছে৷আজ কল্যাণপুর থানা এলাকার উত্তর মহারানীপুরে গিয়ে দেখা গেল কয়েক কানি ধান যেমন খেয়েছে তেমনি হাতির বড় বড় পায়ের চাপে নষ্ট করে৷ প্রায়দিনই হাতির দল খাবারের সন্ধ্যানে পাহাড় থেকে নেমে আসে কৃষকদের জমিতে৷ধানের সঙ্গেসঙ্গে সব্জী ও নষ্ট করে দিচ্ছে৷ বিকালবেলা, সন্ধ্যার সময় যেকোন সময় নেমে আসে৷মহারানীপুর, বাঘবেড়,প্রেমসিং,গোদাইবাড়ি,শান্তীনগর,উওরমহারানীপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায়দিনই আক্রমন করে৷ দপ্তর থেকে চেষ্টা করা হয় আক্রমণ আটকানোর জন্য৷ কিছু বাজি পটকা ফাটানো হয়৷ কিন্তু এরপর শেষ আবার সেই হাতির দল নেমে আসে৷ ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারি সহায়তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন৷অবিলম্বে হাতি তাড়ানোর ব্যবসা করা,যারা হাতির আক্রমনে বিভিন্ন ক্ষতির স্বীকার হয়েছেন তাদের যেন প্রয়োজনীয় সাহায্যর উদ্যোগ নেয় তার দাবী রাখেন এলাকাবাসীরা৷ এইদিকে বনদপ্তর থেকেও মাঝেমধ্যে সহায়তা করা হয় বলে জানা যায়৷ সব মিলিয়ে হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে ক্ষতিগ্রস্তরা চাইছেন স্থায়ী সমাধান৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *