Bilonia Hospital : গৃহবধূর মৃতদেহ ময়নাতদন্ত ঘিরে বিলোনীয়া হাসপাতালে উত্তেজনা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ নভেম্বর৷৷ দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়ার চিত্তাখলা এলাকায় গৃহবধূ সুপ্রিয়ার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্বশুরবাড়ি বাপের বাড়ির লোকজনদের মধ্যে মতভেদ চরম আকার ধারণ করেছে৷ পুলিশের বিরুদ্ধেও পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ এনেছে মৃতার পরিবারের লোকজনরা৷ মরেও শান্তি পেল না ২০ বছরের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ সুপ্রিয়া৷ এমনই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে বিলোনিয়া মহাকুমা হাসপাতাল চত্বরে৷ মতাই চাইলতা চিত্তাখোলা শশুর বাড়ির পক্ষ থেকে আত্মহত্যার কথা বলা হলেও বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে গৃহবধূ সুপ্রিয়াকে খূনের অভিযোগ করা হয়৷


অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ ঘিরে সারা মহকুমা জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হওয়ার পর অবশেষে মৃতদেহের পোস্টমর্টেম নিয়ে শুরু হয় ভিন্ন ধরনের তালবাহানা৷ যদিওবা গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজনদের চাপে অবশেষে মঙ্গলবার বিকেলে বিলোনিয়া হাসপাতালে মৃতদেহ ময়না তদন্ত করা হয়৷ মৃত গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজনদের অভিযোগ বিলোনিয়া মহিলা থানার তদন্তকারী অফিসার নাকি অভিযুক্তদের সাথে যোগ সাজেশ করে অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা চালাচ্ছে৷ এ নিয়েও এক সময় হাসপাতাল চত্বরে শুরু হয় উত্তেজনা৷ এছাড়া মৃতা গৃহবধূর ময়না তদন্তে স্বাক্ষর নিয়েও চলে উত্তেজনা৷


অবশেষে ঘটনার খবর পেয়ে ছুটেন আসে বিলোনিয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ও বিলোনিয়া থানার ওসি সহ পুলিশ টি.এস.আর বাহিনী৷মঙ্গলবার সকাল থেকে বিলোনিয়া পূর্ব পিপরিয়াখোলাস্থিত মৃতা গৃহবধূ সুপ্রিয়ার বাপের বাড়ির লোকজন সহ শতাধিক লোক সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্ত স্বামী শাশুড়ী ও শ্বশুর গ্রেপ্তারের দাবিতে ভিড় জমায় বিলোনিয়া মহাকুমা হাসপাতাল চত্বরে৷ পরিবারের লোকজনদের তরফ থেকে প্রশাসনের নিকট অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে সকাল থেকে পোস্টমর্টেম করতে দেওয়া হয়নি মৃতা সুপ্রিয়ার মরদেহকে৷ একসময় প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের হস্তক্ষেপে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় আগরতলা জিবি হাসপাতালে৷ অবশেষে অবস্থা বেগতিক দেখে দক্ষিণ জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর জগদীশচন্দ্র নমোর হস্তক্ষেপে পরিবারের লোকজন এবং উপস্থিত প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে বিলোনিয়া মহকুমা হাসপাতালেই পোস্টমর্টেম সম্পন্ন করে মৃতা গৃহবধূর মরদেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে৷
মৃতার পরিবারের লোকজনরা অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানান৷ কড়া বার্তা দেওয়া হয় বিলোনিয়া মহিলা থানার অফিসারের বিরুদ্ধেও৷ এদিকে ১৭/২১৷ ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৪(বি) ৩ ধারায় মামলা নিয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে৷ এদিন ময়না তদন্তের সময় হাসপাতালে আসেনি স্বামীর বাড়ির কেউ সূত্রের খবর সবাই পলাতক৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *