নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ নভেম্বর৷৷ রাজধানী আগরতলা শহরেই আবদ্ধ তৃণমূলের প্রতাপ৷ অন্তত পুর নির্বাচনকে ঘিরে ঘাসফুল শিবিরের ইস্তেহার প্রকাশে এমনটাই মনে হচ্ছে৷ কারণ, পুর নিগম নির্বাচনের ইস্তেহারে নবরত্নের ঘোষণা দিয়েছে তৃণমূল৷ কিন্ত, পুর পরিষদ ও নগর পঞ্চায়েতে জয়ী হলে তবেই মানুষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে উন্নয়নের রূপরেখা স্থির করবে মমতার দল৷ আজ আগরতলায় তারকা খচিত সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল কংগ্রেস ’’আগরতলার জন্য নবরত্ন’’ শিরোনামে ইস্তেহার প্রকাশ করেছে৷
এদিন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু বিকাশ রায় বলেন, ত্রিপুরায় নির্বাচনকে ঘিরে ঠিকভাবে প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও বিরোধীদের উপর দমন-পীড়ন চলছে৷ তাঁর অভিযোগ, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য এবং বিধায়কগণ লাগাতার হুমকি দিচ্ছেন৷ কারণ, তাঁরা ভিত সন্ত্রস্থ হয়ে পড়েছেন৷ তাঁর দাবি, ত রিপুরায় বিজেপির প্রকৃত বিকল্প একমাত্র তৃণমূল, মানুষ তা বুঝে গেছেন৷ তাঁর হুঙ্কার, হুমকি-ধমকি দিয়েও কোন অবস্থাতেই তৃণমূলকে দমিয়ে রাখা যাবে না৷
আজ তিনি তৃণমূলের ইস্তেহার প্রকাশের মাধ্যমে আগরতলাবাসীকে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷ তাঁর কথায়, উন্নত নগর উন্নত সমাজ, নিশ্চিত সুরক্ষা নিশ্চিত আমরা, পরিচ্ছন্ন আগরতলা নির্মল ত্রিপুরা, জন অভিযোগ নিষ্পত্তি, সুস্বাস্থ্যের আশ্বাস, করের বোঝা হবে না সোজা, সকলের ঘরে পরিশ্রুত জল, সামাজিক উন্নয়নে এগোবে আগরতলা এবং পুর কল্যানে আমরা সকলে ইস্তেহারে এই নবরত্নের ঘোষণা রয়েছে৷
আগরতলাকে নিয়ে ইস্তেহারে ঢালাও প্রতিশ্রুতি থাকলেও, কার্যত পুর পরিষদ এবং নগর পঞ্চায়েতকে পাখির চোখ করতে পারছে না তৃণমূল৷ তাই, নির্বাচনের আগে কোন প্রতিশ্রুতির ঘোষণা দিচ্ছে ঘাসফুল শিবির৷ এ-বিষয়ে সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, পুর পরিষদ এবং নগর পঞ্চায়েত নির্বাচনে স্থানীয় সমস্যা তৃণমূলের অগ্রাধিকারে রয়েছে৷ তাই, এখনই ইস্তেহার প্রকাশ করব না আমরা৷ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর স্থানীয় মানুষের পরামর্শক্রমে উন্নয়নের রূপরেখা স্থির হবে৷ তাতে মনে হচ্ছে, পুর পরিষদ এবং নগর পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসে অনেকটাই ঘাটতি রয়েছে৷