Smuggling brown sugar : ধর্মনগরে ব্রাউন সুগারের রমরমা বাণিজ্য, আটক চার যুবক

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ১৬ নভেম্বর৷৷উত্তর জেলার ধর্মনগর থানা এলাকায় সম্প্রতি নেশার রমরমা বাণিজ্য মাথা ঝাড়া দিয়ে গজিয়েছে৷তাতে করে স্থানীয় থানার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদত রয়েছে বলে গুঞ্জন সর্বত্র৷ যদিও উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তীর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় উত্তর জেলার নেশা বাণিজ্যের রমরমা ব্যবসায় অনেকটা লাগাম টানতে সক্ষম হয়েছেন৷


কিন্তু ধর্মনগর শহরের বুকে স্থানীয় থানার গা ছাড়া মনোভাবের কারণে সম্প্রতি নেশার আতুর ঘরে পরিণত হয়েছে ধর্মনগর শহর৷আর নেশার প্রেমে ধর্মনগর শহরে ছুটে আসে গোটা জেলার নেশা পিপাসুরা৷ তাছাড়া ধর্মনগর শহরের পূর্ব বাজারে মদের এতটা রমরমা যে, সেখানে কোন ভদ্র ঘরের মানুষ বাজারে করতে গেলে মদ ব্যবসায়ীদের বাড়বাড়ন্তে হোঁচট খেতে হয়৷ এমনকি ধর্মনগর শহরের অলিগলিতে ব্রাউন সুগার সহ নানা নেশা সামগ্রীর রমরমা ব্যবসা বর্তমানে চলমান৷


তারই এক জলজ্যান্ত নমুনা দেখা গেল ধর্মনগর রাজবাড়ী স্থিত আই এস বি টি তে৷ মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক সাড়ে সাতটা নাগাদ আই এস বি টি তে থাকা চালকরা চার যুবককে ব্রাউন সুগার সেবনের সময় হাতে নাতে পাকড়াও করেন৷ চালকদের কাছে ধৃত চার যুবক অকপটে স্বীকার করে,তারা ব্রাউন সুগার সেবন করে৷এমনকি ধর্মনগর আই এস বি টি র পাশে একটি বাড়ি থেকে ধৃতরা ব্রাউন সুগার ক্রয় করেছে৷পড়ে তাদের কাছ থেকে তিন কৌটা ব্রাউন সুগারও উদ্ধার হয়৷খবর দেওয়া হয় ধর্মনগর থানায়৷ ধর্মনগর থানার পুলিশ অকুসলে এসে চার যুবককে থানায় নিয়ে যায়৷ ধৃতদের বয়স সাকুল্যে যুবকের আওতায় ছুঁই ছুঁই৷তবে সানীয়দের বক্তব্য, ধর্মনগর থানার পুলিশ ধৃত চার ব্রাউন সুগার সেবনকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে এই ব্রাউন সুগার ব্যবসার মূল চক্রকে জালে তুলুক৷ রাজ্যের দ্বিতীয়তম শহর ধর্মনগর শহরের অলিগলিতে এভাবে নেশার রমরমা বাণিজ্য চলবে তা কোন ভাবে মেনে নেওয়া যায় না বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ৷ কিন্তু কাকতালীয় ব্যাপার হলো,এর পূর্বেও ধর্মনগর শহরের জনগণ ব্রাউন সুগার সেবনকারীকে হাতে নাতে আটক করে ধর্মনগর থানার হাতে তুলে দিলেও সানীয় থানা কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি বলে অভিযোগ৷তবে সানীয় থানার উদাসীনতা ও গা ছড়া মনোভাবের ফলে উত্তর জেলার যুব সমাজ ধবংসের পথে,তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷