নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ জুলাই।। রাজ্যের প্রধান হাসপাতাল জিবির চক্ষু বিভাগ টানা চার ঘন্টা লোডশেডিংয়ের কবলে। চোখ অপারেশন করাতে আসা রোগীরা চরম দূর্ভোগের শামিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে চলেছেন। রাজ্যের মানুষের প্রধান ভরসাস্থল জিবি হাসপাতাল। রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ চিকিৎসা করাতে জিবি হাসপাতালে ছুটে আসেন। জিবি হাসপাতালে গড়ে উঠেছে রাজ্যের সবচেয়ে বড় চক্ষু চিকিৎসা বিভাগ।
এখানে নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা এবং অপারেশন এর ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে উন্নত যন্ত্রপাতি। স্বাভাবিক কারণেই জিবি হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের উপর মানুষ যথেষ্ট নির্ভরশীল। সে কারণেই রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে রোগী জিবি হাসপাতালে আসেন চক্ষু পরীক্ষা করাতে এবং প্রয়োজনে অপারেশন করাতে। বৃহস্পতিবার জিবি হাসপাতালে চক্ষু বিভাগে বেশকিছু সংখ্যক রোগীর চোখ অপারেশন হওয়ার কথা ছিল। সে অনুযায়ী চিকিৎসক, নার্স সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা যথাসময়েই উপস্থিত হন। রোগীরাও সকাল সাতটা থেকে জিবি হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে অপারেশনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। সকাল ৯ টা নাগাদ যথারীতি অপারেশন থিয়েটারে অপারেশন শুরু হয়। এর মধ্যেই শুরু হয় বিদ্যুৎ চপলতা।
স্বাভাবিক কারণেই চোখ অপারেশনের ক্ষেত্রে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে। মোটামুটি ১৫ জনের মতো রোগীর চোখ অপারেশন করা হয়। বেলা প্রায় ১২ টা নাগাদ বিদ্যুৎ পুরোপুরি চলে যায়। ফলে অপারেশন বন্ধ হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ কর্মীরা দীর্ঘক্ষণ পর সেখানে আসলেও বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। শেষ পর্যন্ত সব প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন বিদ্যুৎ সংকটের কারণে অপারেশন করা সম্ভব হবে না। জানা যায় জিবি হাসপাতালে চক্ষু বিভাগের অপারেশন থিয়েটারে জরুরী ভিত্তিতে বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই।
বিদ্যুতের অভাবে অপারেশন বন্ধ হয়ে পড়ায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগী ও তাদের পরিবারের লোকজন সমস্যার সম্মুখীন হন। আবার কবে নাগাদ অপারেশন হবে তাও নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না। রাজ্যের প্রধান হাসপাতাল জিবির চক্ষু বিভাগে টানা কয়েক ঘণ্টা লোডশেডিং এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকায় জনমনে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।জিবি হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং কেউই মেনে নিতে পারছেন না। এখন দেখার বিষয় এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ পরবর্তী কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।