নয়াদিল্লি, ১২ জুলাই (হি.স.): উত্তর প্রদেশ-সহ দেশের তিনটি রাজ্যে বজ্রাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৬৮ জন। পাশাপাশি বাজ পড়ে আহত ও দগ্ধ হয়েছেন বহু মানুষ। উত্তর প্রদেশ ছাড়াও বাকি দু’টি রাজ্য হল-মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান। ৬৮ জনের মধ্যে ১১ জনের মৃত্যু জয়পুরের একটি ওয়াচটাওয়ারে নিজস্বী তুলতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। তিনটি রাজ্যে বজ্রাঘাতে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মৃতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
উত্তরপ্রদেশেই শুধুমাত্র বজ্রাঘাতে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজস্থানে সংখ্যাটা ২০। মধ্যপ্রদেশে বাজ পড়ে সাত জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হিন্দিতে একাধিক টুইট করে লিখেছেন, রাজস্থানের কিছু এলাকায় বজ্রাঘাতে বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক। মৃতদের পরিবারকে জানাই গভীর সমবেদনা। আরও একটি টুইটে লিখেছেন, উত্তর প্রদেশের কিছু এলাকায় বজ্রাঘাতে প্রাণহানির ঘটনা হৃদয়বিদারক। মৃতদের পরিবারকে জানাই গভীর সমবেদনা। মধ্যপ্রদেশে বজ্রাঘাতে প্রাণহানির ঘটনাতেও দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পৃথক পৃথক টুইট করে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, রাজস্থানে বজ্রাঘাতে মৃতদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আহতদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা। অপর টুইটে জানানো হয়, উত্তর প্রদেশে বজ্রাঘাতে মৃতদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, আহতদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা। মধ্যপ্রদেশেও বজ্রাঘাতে মৃতদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে দেওয়া হবে ২ লক্ষ টাকা করে, আহতদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা।
রাজস্থানে মৃতদের মধ্যে ১১ জন জয়পুর, ৪ জন কোটা, ৩ জন ঢোলপুর, এক জন ঝালওয়ার ও এক জন বারানের বাসিন্দা। জয়পুরের আমের এলাকায় একটি ওয়াচটাওয়ারে ৪০ মিনিটের মধ্যে পর পর দু’বার বাজ পড়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা সেখানে উঠে নিজস্বী তুলছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ভারী বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রাঘাতে উত্তর প্রদেশে বিভিন্ন প্রান্তে প্রাণ হারিয়েছেন ৪১ জন। এছাড়াও বজ্রাঘাতে জখম ও আহত হয়েছেন আরও ৩২ জন। রবিবার বজ্রাঘাতে ব্যাপক এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। শুধুমাত্র প্রয়াগরাজে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, সেখানে দগ্ধ হয়েছেন ৪ জন। কৌশাম্বীতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ও প্রতাপগড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ফতেহপুরে ৩ জন মহিলা-সহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। কানপুর দেহাত জেলায় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে একজন মহিলা-সহ ৫ জনের। উন্নাও ও ফিরোজাবাদে দু’জন করে প্রাণ হারিয়েছেন। হামিরপুর, বান্দা, সোনভদ্র, চান্দাউলি রায়বেরেলি, সুলতানপুর, মির্জাপুর ও আওরাইয়াতে একজন করে প্রাণ হারিয়েছেন।

