কলকাতা, ২৫ মে (হি স)। আবহাওয়ার চলতি জটিল আবর্তের মাঝেই ২৬ মে রাতের আকাশে দেখা যাবে চন্দ্রগ্রহণ। একই সঙ্গে কিছু জায়গায় ‘ব্লাড মুন’, ‘সুপার মুন’ ও চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। জ্যোতির্বিজ্ঞানের নিরিখে এটি একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। একদিনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এই বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য দেখা না গেলেও আংশিক গ্রহণ দেখতে পারবেন রাজ্যবাসী।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দাপটের মধ্যে বাংলার আকাশে চন্দ্রগ্রহণের আংশিক গ্রহণের দৃশ্য দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা কম। একমাত্র মেঘমুক্ত আকাশ থাকলেই তবে এমন দৃশ্য দেখা যাবে। তবে গ্রহণের শেষ কয়েকট মিনিট দেখা যাবে বাংলা থেকে।
মহাজাগতিক এই সব দৃশ্য দেখতে গবেষকরা অনেকে মুখিয়ে থাকেন। এ রকম প্রায় দেড়শ গবেষক মিলে ১৯৭৮-এ তৈরি করেছেন স্কাই ওয়াচার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাদের অন্যতম কর্মকর্তা শমীন্দ্র বসু এই প্রতিবেদককে বলেন, “করোনা এবং দুর্যোগে আমরা এবার বাইরে সমবেত পর্যবেক্ষণ করছি না। তবে ঘরে থেকে গতিপ্রকৃতি লক্ষ্য রাখছি।”
শমীন্দ্রবাবুর কথায়, “যে সব দেশে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে, কেবল সেই সব স্থানেই ‘ব্লাড মুন’ দেখা সম্ভব। আংশিক চন্দ্রগ্রহণে ব্লাড মুন দেখা যায় না।“ এর মহাজাগতিক কারণও ব্যাখ্যা করেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গে চাঁদ ওঠার পর আংশিক চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। তা একেবারে শেষের দিকে মিনিট কয়েকের হবে। সিকিম ছাড়া উত্তর-পূর্ব ভারত, পশ্চিমবঙ্গের একাংশ এবং উপকূলীয় ওড়িশার একাংশের মানুষ চন্দ্রগ্রহণ দেখতে পাবেন।
সূত্রের খবর, নিম্নলিখিত সময়গুলোয় গ্রহণ দেখা যেতে পারে। যদিও এই আবহাওয়ায় তার সম্ভাবনা কম।
১) কলকাতা – সন্ধ্যা ৬ টা ১৫ মিনিটে চাঁদ উঠবে। আর গ্রহণ শেষ হবে সন্ধ্যা ৬ টা ২৩ মিনিটে।
২) কোচবিহার – সন্ধ্যা ৬ টা ১৮ মিনিটে চাঁদ উঠবে। আর গ্রহণ শেষ হবে সন্ধ্যা ৬ টা ২৩ মিনিটে।
৩) ডায়মন্ড হারবার – সন্ধ্যা ৬ টা ১৫ মিনিটে চাঁদ উঠবে। আর গ্রহণ শেষ হবে সন্ধ্যা ৬ টা ২৩ মিনিটে।
৪) গুয়াহাটি – সন্ধ্যা ৬ টা ৯ মিনিটে চাঁদ উঠবে। আর গ্রহণ শেষ হবে সন্ধ্যা ৬ টা ২৩ মিনিটে।
৫) মালদহ – সন্ধ্যা ৬ টা ২১ মিনিটে চাঁদ উঠবে। আর গ্রহণ শেষ হবে সন্ধ্যা ৬ টা ২৩ মিনিটে।
৬) দিঘা – সন্ধ্যা ৬ টা ১৬ মিনিটে চাঁদ উঠবে। আর গ্রহণ শেষ হবে সন্ধ্যা ৬ টা ২৩ মিনিটে।
৭) শিলচর – সন্ধ্যা ৬ টা ১ মিনিটে চাঁদ উঠবে। আর গ্রহণ শেষ হবে সন্ধ্যা ৬ টা ২৩ মিনিটে।
৮) ঢাকা – সন্ধ্যা ৬ টা ৯ মিনিটে চাঁদ উঠবে। আর গ্রহণ শেষ হবে সন্ধ্যা ৬ টা ২৩ মিনিটে।
এছাড়াও পূর্ব ওড়িশা, অরুণাচলপ্রদেশ, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, ত্রিপুরা , অসম, মেঘালয়ে এই বিরল দৃশ্যের দেখা মিলবে বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, দক্ষিণ আমেরিকা, উত্তর আমেরিকা, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আন্টার্টিকা, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। ব্রাজিলের পশ্চিম অংশ, আমেরিকার পূর্বদিক এবং কানাডা থেকে চন্দ্রগ্রহণ শুরুর দিক দেখতে পাবেন মানুষ। চন্দ্রগ্রহণের শেষের দিকের অংশ দেখা যাবে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল, শ্রীলঙ্কা, উত্তর-পূর্ব ভারত, চিন, মঙ্গোলিয়া এবং রাশিয়ায়। হিন্দুস্থান সমাচার/ অশোক