নয়াদিল্লি, ২১ মে (হি.স.): আন্দামান – নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের একাংশে প্রবেশ করল বর্ষা । আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের এক দিন আগেই ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকল বর্ষা। শুক্রবার দ্বীপপুঞ্জের বেশ কিছু জায়গায় ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। এছাড়া বর্ষা প্রবেশ করেছে শ্রীলঙ্কা ও মায়ানমারের একাংশেও। পূর্বাভাস অনুসারে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের হাত ধরে এবার দ্রুত অগ্রগতি হতে পারে বর্ষার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বঙ্গোপসাগরে শনি বা রবিবার যে নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে, তার পিঠে চড়ে এবার দ্রুত অগ্রগতি হতে পারে বর্ষার। তেমন হলে ঘূর্ণিঝড় যশের সঙ্গে ২৭ মে-র পর যে কোনও সময় পশ্চিমবঙ্গে হাজির হতে পারে বর্ষা। আসন্ন বর্ষায় স্বাভাবিক বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
ভারতবর্ষের মূল ভূখণ্ড কেরলে প্রথম বর্ষা আসে পয়লা জুন। প্রথমে আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড় তকতে ও পরে বঙ্গোপসাগরে যশের আবির্ভাব। আবহাওয়াবিদদের অনুমান কেরলে এক দিন আগেই বর্ষা ঢুকে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ৩১ মে-র মধ্যে কেরলে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশের প্রবল সম্ভাবনা।
অন্যদিকে ভারতের বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ড আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বর্ষা আসে ২২ মে। এবছর এই সিস্টেমের প্রভাবে একুশে মে অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করল আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর শুরু হয়েছে বর্ষার প্রবল বৃষ্টি। আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ শুরু হয়েছে বর্ষার বৃষ্টি। গত কয়েকদিন পর বৃষ্টিতে ভিজেছে দ্বীপপুঞ্জ।
গত বছর ঘূর্ণিঝড় আমফানের জেরে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১৫ দিন পর পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে বর্ষা। দেশের অন্যান্য রাজ্যে বর্ষা স্বাভাবিক বর্ষণ হলেও পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাতের প্রবল ঘাটতি ছিল। বর্ষার ওপর নির্ভর করে ভারতীয় উপমহাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষিকাজ ও অর্থনীতি। সময়ে বর্ষা না ঢুকলে যেমন চাষের মরশুম পিছিয়ে যায়, তেমনই পর্যাপ্ত বর্ষণ না হলে থেকে যায় খরার সম্ভাবনা।