আগরতলা, ২১ মে (হি. স.) : ত্রিপুরায় মিলল ব্ল্যাক ফাঙ্গাস-র সংক্রমণ। আগরতলায় একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ৬৮ বছর বয়সী মহিলার দেহে ওই সংক্রমণ মিলেছে। এদিকে, ত্রিপুরা সরকার ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগ-কেও মহামারী ঘোষণা দিয়েছে।
এ-বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগ-কে মহামারী ঘোষণা করেছে এবং রাজ্যগুলি-কেও এ-বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে। তাঁর কথায়, ত্রিপুরা সরকার আজ ব্ল্যাক ফাঙ্গাস-কে মহামারী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। মহামারী আইনে ওই রোগ-কে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
সাথে তিনি যোগ করেন, ত্রিপুরায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাস-এ আক্রান্ত একজন-কে চিহ্নিত করা হয়েছে। আগরতলায় একটি বেসরকারী হাসপাতালে তিনি চিকিত্সাধীন রয়েছেন। তিনি বলেন, ওই রোগ সাধারনত, করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার পর দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে, মধুমেহ, ক্যান্সার, কিডনি রোগ, এইচআইভি আক্রান্ত রোগীদের জন্য ওই রোগ ভীষণ ঝুকিপূর্ণ। কারণ, তাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাধারনত কম থাকে।
করোনা-র বিভীষিকা-র মধ্যেই নতুন আতঙ্ক ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক। এই রোগ কেন্দ্রীয় সরকার মহামারী ঘোষণা দিয়েছে। সাথে রাজ্যগুলি-কেও ওই রোগ-কে মহামারী আইনে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলেছে। সে মোতাবেক ত্রিপুরা সরকার জি বি হাসপাতাল এবং ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-কে ওই রোগের চিকিত্সায় প্রস্তুত রেখেছে।
এ-বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের অধিকর্তা ডা: রাধা দেববর্মা বলেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগ সম্পর্কে ত্রিপুরা সরকার অবগত রয়েছে। কেন্দ্রের চিঠি পেয়েই ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, করোনা-র চিকিত্সায় দুইটি ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল রয়েছে। জি বি হাসপাতালের সাথে এখন ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ওই দুইটি হাসপাতালেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগের চিকিত্সা-র ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সাথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ মিলেছে। শুধু তাই নয়, ওই রোগে আক্রান্ত এক ব্যক্তির ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞ-দের দাবি, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস করোনা-র থেকে ভয়ানক। ত্রিপুরায় এখনো ওই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি। কিন্ত, সংক্রমণ ত্রিপুরায় ছড়িয়ে পরা আটকানো কতটা সম্ভব, এ-বিষয়ে চিকিত্সকমহল সন্দেহে রয়েছেন।