নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর, ১৪ মে৷৷ বাম আমলে গঠিত নিগোসিয়েশন বানিজ্য রাম আমলেও বহাল তবিয়তে চলছে৷ এই নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের রমরমা কিন্তু রাজ্যের অন্যান্য অংশের মতো উদয়পুরে ও জাকিয়ে বসেছে৷ নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের ফলে এক দিকে যেমন কাজের গুনগত মান নিম্নমুখী অন্যদিকে প্রকৃত সৎ ঠিকাদারা কাজের গুনগত মান বজায় রেখে কাজ করতে পারছেন না – কারন একটাই নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের নামে একটা বিরাট শতাংশ নিগো মাফিয়ারা আগেই লুটে নেয়৷এই নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের মাফিয়া দ্বারা নিজ দল ক্ষমতায় থাকা স্বত্তেও আজ আক্রান্ত হলেন গোমতি জেলার বিজেপি প্রাক্তন সম্পাদক রূপক অধিকারী৷
রূপক অধিকারীর পিতা স্বপন অধিকারী গোমতি জেলা পরিষদের জেলা সভাধিপতি৷ আজ সকালে রূপক যখন ওনার নিজস্ব গাড়ি নিয়ে উদয়পুর রবীন্দ্র সংঘ লাগোয়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে দাঁড়িয়ে পরিচিত ব্যক্তির সাথে বাক্যালাপ করছিলো তখন শ্যামল দাস(লালু), গয়া শীল,ও রাজু সাহা সহ আরো চার পাঁচ জন দুষৃকতী আচমকা রূপক অধিকারীর গলা চেপে ধরে এবং রূপক কে মাটিতে ফেলে কিল- চর -ঘূষি মারতে থাকে৷
রূপক কোন ক্রমে দৌড়ে জগন্নাথ চৌমূহনীস্থিত প্রবাল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে ঢুকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করলেও সেখানেও নিগো মাফিয়ার ভাড়াটে দুষৃকতীরা রূপকের উপর চড়াও হলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে দুষৃকতীরা রূপক কে ফেলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়৷ এখানে উল্লেখ থাকে যে এই কয়েক দিন আগে উদয়পুর পুরপরিষদের অন্তর্গত জগন্নাথ দিঘির পশ্চিম পাড়ের পাকা রাস্তাটি রূপকের অধীন কর্মরত শ্রমিকরা কাজ করতে গেলে একদল দুষৃকতী দ্বারা বাধা প্রাপ্ত হয়েছিলো৷
এদিকে আজকের এই ঘটনার খবর চারিদিকে চাউড় হতেই উত্তেজনা দেখা দেয় রূপক অনুগামীদের মধ্যে৷ রূপক অনুগামীরা থানায় গিয়ে উল্লিখিত তিন দুষৃকতী সহ আরো পাঁচ ছয় জন অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে এফ আই আর করে আর কে পুর থানায়৷যার কেস নং ৭৮/২০২২৷ ধারা সংযুক্ত করা হয়েছে ৩০৭ ,৩২৫, ৩৪১ , ৫০৬ ও ৩৪ আই পি সি৷ যদিও সংবাদ লেখা পর্যন্ত গয়া শীল নামে একজন দুষৃকতীকে গ্রেপ্তার করেছ-আগামী কাল আদালতে সোপর্দ করা হবে৷
এই কেসের তদন্তকারী অফিসার হচ্ছেন রূপক বৈদ্য৷ আজকের এই ঘটনায় আক্রান্ত প্রাক্তন বিজেপি গোমতী জেলা সম্পাদক রূপক অধিকারীর বাবা তথ্য গোমতী জেলা সভাধিপতি স্বপন অধিকারী থানায়৷বসে যে ভাবে স্বদলীয় কার্যকর্তাদের নামে সরাসরি অভিযোগ করেন তা তা সাধারণনের মনে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে- অধিকাংশই বলছেন স্বদলীয় কোন্দল প্রকাশ্য রাস্তায় না এনে,একজন আরেকজনকে দোষারোপ না করে দলীয় স্তরে বসে মিটমাট করে নিলেই ভালো হতো৷ এলাকায় দলীয় সমর্থকদের মধ্যে ছি ছি রব শোনা যাচ্ছে৷ অধিকাংশের মুখেই স্বদলীয় প্রতিহিংসার নিন্দা ও প্রতিবাদ শোনা যায়৷