আগরতলা, ৭ মে (হি. স.)৷৷ ত্রিপুরায় বর্তমানে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ২১৩৭টি শয্যা প্রস্তুত রয়েছে৷ আরও ৭৭৫টি শয্যা চিহ্ণিত করা আছে, প্রয়োজনে রোগীর সেবায় ব্যবহার করা হবে৷ আজ এ-বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ৷
এদিন তিনি বলেন, ত্রিপুরায় করোনার চিকিৎসায় বর্তমানে মোট ৩৫টি করোনা সেন্টার রয়েছে৷ তার মধ্যে আইসোলেশন সেন্টার ১৩টি, কোভিড কেয়ার সেন্টার ১৫টি, ডেডিকেটেড কোভিড হেলথ সেন্টার ৬টি এবং ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল রয়েছে ১টি৷ তিনি জানান, ওই কোভিড সেন্টার ও হাসপাতালে মোট ২১৩৭টি শয্যা সম্পুর্ন প্রস্তুত রয়েছে৷ শুধু তাই নয়, যাবতীয় সমস্ত সুযোগ-সুবিধার বন্দোবস্ত করা হয়েছে৷
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোভিড কেয়ার সেন্টার, ডেডিকেটেড কোভিড হেলথ সেন্টার এবং ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল-এ অক্সিজেনের ব্যবস্থা রয়েছে৷ তেমনি, কোভিড হাসপাতালে আইসিইউ, ভেন্টিলেটর থেকে শুরু করে ডায়ালাইসিস-র সুবন্দোবস্ত রাখা হয়েছে৷
এদিন তিনি জানান, ত্রিপুরায় পর্যাপ্ত অক্সিজেনের উৎপাদন হচ্ছে৷ বোধজংনগর-এ তিনটি প্ল্যান্ট-এ প্রতিদিন ৫২৫টি অক্সিজেন সিলিন্ডার তৈরী করা হচ্ছে৷ এছাড়াও, রাজ্যে পর্যাপ্ত অক্সিজেন কনসেন্েন্টটর রয়েছে৷ তিনি আজ দাবি করেন, ত্রিপুরায় করোনার টিকাকরণ যথেষ্ট সন্তোষজনক৷ ফলে, করোনা আক্রান্ত মৃতের হার ত্রিপুরায় কম হবে৷ তিনি বলেন, ৯৫.৫০ শতাংশ স্বাস্থ্য কর্মী, ৯৬.৬০ শতাংশ সামনের সারির কর্মী, ৭৮.১০ শতাংশ ৬০ বছরের অধিক এবং ৫৮ শতাংশ ৪৫ বছরের অধিক ত্রিপুরার নাগরিকের করোনার টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে৷ যা জাতীয় গড়ের তুলনায় অনেক বেশি৷
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য দফতরের মিডিয়া বুলেটিন অনুসারে, গত ২৪ ঘন্টায় আরটি-পিসিআর ৯১৬ এবং র্যাপিড এন্টিজেনের মাধ্যমে ৪২৬৭ জন মোট ৫১৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তাতে, আরটি-পিসিআর ৪৪ জন এবং র্যাপিড এন্টিজেন-এ ২৭১ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে৷ সব মিলিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় মোট ৩১৫ জন নতুন করোনা সংক্রামিতের খোঁজ পাওয়া গেছে৷