বার্মিংহাম, ২০ মার্চ (হি.স.): অল ইংল্যান্ড ওপেন ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে এখন ভারতের একমাত্র ভরসা পি ভি সিন্ধু। প্রথম গেমে হেরে গিয়েও শেষ পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে হারালেন জাপানের আকানে ইয়ামাগুচিকে। দুরন্ত কামব্যাক করে তিনি পৌঁছে গেলেন মহিলাদের সিঙ্গলসের সেমিফাইনালে। টুর্নামেন্টে এই প্রথমবার শক্ত চ্যালেঞ্জ সামলাতে হল ভারতের তারকা শাটলারকে। টুর্নামেন্টের তৃতীয় বাছাই জাপানের আকানে ইয়ামাগুচির বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ পড়েছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন সিন্ধুর। বিশ্ব ক্রমতালিকায় সিন্ধু আছেন সাতে, ওয়ার্ল্ড ট্যুর ক্রমতালিকায় দুইয়ে। ইয়ামাগুচি বিশ্ব ক্রমতালিকায় রয়েছেন পাঁচে। প্রথম গেম ইয়ামাগুচি ২১-১৬ ব্যবধানে জিতে নেন। এরপরই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে একই ব্যবধানে পরের গেমটি জিতে নেন সিন্ধু। তৃতীয় গেমে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হল। শেষের দিকে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। ১৭-১৮-তে পিছিয়ে পড়ে ১৯-১৮-তে এগিয়ে যান সিন্ধু। এরপরই ইয়ামাগুচি ১৯-১৯ করে ফেলেন। তবে স্নায়ুযুদ্ধে অবশ্য বিপক্ষকে টেক্কা দেন ভারতের তারকা শাটলার। তিনি তৃতীয় গেম জিতে নেন ২১-১৯ ব্যবধানে। মহিলা সিঙ্গলস কোয়ার্টার ফাইনালে তৃতীয় বাছাই বনাম পঞ্চম বাছাইয়ের লড়াই চলে ৭৫ মিনিট ধরে। এই নিয়ে ইয়ামাগুচির বিরুদ্ধে ১১ বার জিতলেন ভারতীয় শাটলার। শেষ আটে বিশ্বের ৫ নম্বরে থাকা ইয়ামাগুচিকে হারানোটা নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে সিন্ধুর। তবে পরের লড়াইটাও কিন্তু সহজ হবে না।
শেষ চারে সিন্ধু মুখোমুখি হবেন থাইল্যান্ডের পর্নপাওয়ি চোচুওয়াংয়ের। চোচুওয়াং র্যাঙ্কিংয়ে সিন্ধুর চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও, সেমিফাইনালের লড়াইটা ততোটাও সহজ হবে না ভারতীয় শাটলারের। সিন্ধুর বর্তমান র্যাঙ্কিং ৭। আর চোচুওয়াংয়ের র্যাঙ্কিং ১১। এখনও পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল টপকাতে পারেননি সিন্ধু। এর আগেও তিনি শেষ চারের লড়াইয়ে হেরে গিয়েছেন। এ বার তাই কোনও রকম ভুল করতে চান না গোপীচাঁদের ছাত্রী।
১৯৮০ সালে প্রকাশ পাড়ুকোন ও ২০০১ সালে পুলেল্লা গোপীচাঁদের পর আর কোনও ভারতীয় অল ইংল্যান্ড ওপেন ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপের খেতাব জেতেননি। বেশ কয়েকটি দেশ এবার টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানোয় ভারতীয়দের সামনে পদক জয়ের হাতছানি ছিল প্রথম থেকেই। তবে চোট পেয়ে সাইনা নেহওয়ালের প্রথম রাউন্ডে বিদায় নেওয়ার পর টুর্নামেন্ট যত এগিয়েছে ততই বিভিন্ন বিভাগে ভারতীয়রা বিদায় নিয়েছেন একমাত্র সিন্ধু বাদে। দীর্ঘ ২০ বছর ভারতের পদক জয়ের খরা সিন্ধু কাটাতে পারেন কিনা সেদিকেই তাকিয়ে দেশের ক্রীড়ামহল।