নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ মার্চ৷৷ খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া মহাকুমার তেলিয়ামুড়া বিদ্যালয় পরিদর্শকের অধীনে ডি এম পাড়া জেবি সুকল৷ এলাকার কচিকাঁচা শিশুদের পঠন- পাঠনের একমাত্র স্থান৷ শ্রমজীবী অংশের জনগণের বাস ওই এলাকা৷ এ বিদ্যালয়ের ১৫ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য শিক্ষক শিক্ষিকা বরাদ্দ রয়েছে দুই(২)জন৷ সোমবার এলাকাবাসীদের থেকে অভিযোগ পেয়ে সংবাদ প্রতিনিধি বিদ্যালয় গিয়ে দেখতে পায়, শিক্ষিকা প্রতিমা সরকার দাস বিদ্যালয় আসেননি৷ ঘড়িতে তখন ৯ টা বেজে ১০ মিনিট৷ তারপরও উনার দেখা নেই৷
আরেক শিক্ষক একাই সব ক্লাস সামলাচ্ছেন৷ এলাকাবাসীদের অভিযোগ ওই শিক্ষিকা নাকি প্রায়শঃই বিদ্যালয় কামাই করেন৷ এ বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সদস্য ক্যামেরার সামনে অকপটে এই ঘটনা স্বীকার করেন৷ বিদ্যালয়ের কর্মরত আরেক শিক্ষক মশাই ও এই ঘটনা স্বীকার করেন৷ কোনরূপ ছুটি না নিয়ে দিব্যি আছেন উনি৷ যখন ইচ্ছে হয় আসেন, শোন ইচ্ছে হয় বাড়ি চলে যান৷ মাস শেষে মোটা মাইনে পকেট এ পুড়েন৷ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় একজন শিক্ষক সব ক্লাসের ছাত্র ছাত্রীদের একত্রে পড়াচ্ছেন৷ এলাকার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণ আজকে ক্যামেরার সামনে এ বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেন৷ তারা জানান চূড়ান্ত অব্যবস্থাপনা ও গাফিলতির মধ্য দিয়ে চলছে বিদ্যালয়৷
এ বিষয়ে বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে৷ জানা যায় তেলিয়ামুড়া ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় থেকে মাস দেড়েক পূর্বে গুণধর শিক্ষিকাকে বিদ্যালয় বদলি করা হয়৷ কিন্তু হাল ফেরেনি৷ এই ঘটনা সম্পর্কে তেলিয়ামুড়া বিদ্যালয় পরিদর্শক জানানো হলে তিনি ঘটনাটি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন৷ এলাকার জনগণের সহ ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি বিদ্যালয় যেন সুষ্ঠ পরিচালন ব্যবস্থা থাকে এবং শিক্ষক শিক্ষিকারা যেন বিদ্যালয এ এসে পঠন-পাঠনে মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের মানুষ করে তোলে৷ এখন দেখার সংবাদ প্রকাশের পর দিদিমণি টনক নড়ে কিনা নাকি এভাবেই চলতে থাকে শিক্ষা ব্যবস্থা৷