ছাওমনুতে দুই এনএলএফটি জঙ্গী পুলিশের জালে

আগরতলা, ২১ ডিসেম্বর (হি. স.)৷৷ ত্রিপুরা পুলিশ নিষিদ্ধ ঘোষিত এনএলএফটি গোষ্ঠীর দুই ক্যাডারকে গ্রেফতার করেছে৷ আজ সোমবার ত্রিপুরা পুলিশ এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত শুক্রবার গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে মালিরাই রোয়াজা পাড়ার তিলক ত্রিপুরা ওরফে ত্রিনি মোহন ত্রিপুরা এবং তুইসাকতরের অর্জুন রিয়াং (২১)-কে ধলাই জেলার ছাওমনু মোটর স্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল৷ জিজ্ঞাসাবাদে দু’’জনেই জানিয়েছে, তিলক ত্রিপুরা অর্জুন রিয়াংকে এনএলএফটি (বিএম) গোষ্ঠীতে যোগ দিতে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল৷ তার জন্য সে এনএলএফটি থেকে আর্থিক সহায়তা পাবেন৷


প্রেস বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, অর্জুন রিয়াং এনএলএফটিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেয় এবং দাহজয় ত্রিপুরার সাথে বাংলাদেশের এনএলএফটি ক্যাম্পে যাওয়ার জন্য তাঁর বাড়ি ছেড়ে দেয়৷ তারা মানিকপুর থানার অন্তর্গত নৈসারাম রোয়াজা পাড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রশিক্ষণ নিতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল৷ অর্জুন রিয়াং ছাওমনুর কাছে পৌঁছলে স্থানীয় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে৷ পুলিশ অর্জুন রিয়াংকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তিলক ত্রিপুরাকে সালেমার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে৷


দুই সন্দেহভাজনের গ্রেফতার ত্রিপুরায় নিষিদ্ধ এনএলএফটি গোষ্ঠীর তৎপরতা এবং প্রচেষ্টা প্রমাণিত করছে৷ এই জঙ্গিরা তাদের গতিবিধি বজায় রাখতে এবং দলে যোগদানের জন্য ত্রিপুরায় উন্মুক্ত সীমান্ত ব্যবহার করছে৷ বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগের৷ এডিসি অঞ্চলে বসবাসরত জনগণ সরকারের প্রয়োজনীয় সমস্ত সুবিধা পাচ্ছে, তবে মানুষ কেন আর্থিক সহায়তার বিনিময়ে নিষিদ্ধ গোষ্ঠীতে যোগদানের জন্য অনুপ্রাণিত হচ্ছে?