শ্রীনাথপুর পঞ্চায়েতে দুর্নীতি আক্রান্ত তদন্তকারী প্রতিনিধিরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ ডিসেম্বর৷৷ ঊনকোটি জেলার কৈলাশহর এর গৌড় নগর এলাকার শ্রীনাথ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্নীতির তদন্ত করতে এসে আক্রমণের শিকার হন তদন্তকারী দলের প্রতিনিধিরা৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে৷ সংবাদ সূত্রে জানা গেছে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এবং এবং সি ফান্ডের ১৫ লক্ষ টাকা দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল৷ এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল৷


অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত দু’’মাস আগে তদন্তকারী দল তদন্ত করতে এসে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়৷ আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গৌরনগর ব্লকের বিডিও তদন্তকারী দলের সদস্যদের নির্দেশ দেন শীঘ্রই দুর্নীতির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে বিডিওর কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য৷গৌরনগর ব্লকের বিডিওর নির্দেশ অনুসারেই তদন্তকারী দলের সদস্যরা ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তদন্ত করতে যান৷ তদন্তকারী দলের প্রতিনিধিরাশ্রীনাথ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তদন্ত করতে গেলে সিপিএম এবং বিজেপি তদন্তকারী দলের সদস্যদের বাধা দেয়৷ তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় এখানে কোন ধরনের তদন্ত করা যাবে না৷


তদন্ত করতে চাইলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলেও তারা হুঁশিয়ারি দেয়৷শুধু তাই নয় তদন্তকারী দলের প্রতিনিধিদের দৈহিকভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা করে তারা৷পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তদন্তকারী দলের সদস্যরা গাড়ি ঘুরিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য হন৷দুর্নীতির তদন্ত করতে এসে বাধাপ্রাপ্ত হয় তদন্তকারী দলের প্রতিনিধিরা ফিরে যান এবং এ বিষয়ে বিডিওর কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানা গেছে৷

উল্লেখ্য এর আগেও বহুবার শ্রীনাথ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে৷বিগত বামফ্রন্ট সরকারের আমলেও শ্রীনাথ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতে নানা দুর্নীতি হয়েছে৷ সরকার বদল এর পর আবারো দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয় শ্রীনাথ পুর গ্রাম পঞ্চায়েত৷বাম আমলে যারা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছিল তারা সরকার পরিবর্তনের পর খোলস পাল্টিয়ে পুনরায় দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ি বলে অভিযোগ৷ বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শ্রীনাথ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩ টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ৬ টি আসন, সিপিআইএম পেয়েছিল পাঁচটি আসন এবং কংগ্রেস পেয়েছিল দুটো আসন৷ নির্বাচনের পর কংগ্রেস এবং সিপিআইএম মিলে পঞ্চায়েত গঠন করেছিল৷ পঞ্চায়েত প্রধান হয়েছিল সিপিআইএম দলের৷পঞ্চায়েত প্রধান দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ায় কংগ্রেসের সদস্যরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে অনাস্থা আনে৷ প্রধান পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর সিপিএম এবং বিজেপি মিলে পুনরায় পঞ্চায়েত দখল করে৷তারাও পঞ্চায়েতে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে৷প্রকৃতপক্ষে বড়নগর ব্লকের শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে৷ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হলে রাঘব-বোয়ালরা অনাহাসে ধরা পড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷