BRAKING NEWS

সংবাদ মাধ্যমের অধিকার রক্ষার দাবীতে গণবস্থান অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টস’র

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ অক্টোবর৷৷ সাংবাদ মাধ্যমকে দেখে নেওয়ার মুখ্যমন্ত্রীর হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে বক্তব্য প্রত্যাহার না করার প্রতিবাদে ও বিভিন্ন দাবীতে অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার আগরতলায় রবীন্দ্র ভবনের সামনে গণবস্থানে বসেছেন সংবাদ কর্মীরা৷


গত ১১ সেপ্ঢেম্বর স্পেশাল ইকোনমিক জোনের শিলান্যাস করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়৷ তারপর থেকে সাংবাদিকদের উপর দুর্বৃত্তদের পর্যায়ক্রমে আক্রমণ বাড়তে থাকে৷ কখনো প্রাণনাশের হুমকি, আবার কখনো দৈহিক নির্যাতন৷ যা রাজ্যের ইতিহাসে হয়তো পূর্বে কখনো হয়নি বলেই চলে৷ মুখ্যমন্ত্রী এ ধরনের হুমকি রাজ্যে সংবাদমাধ্যমে নিন্দার ঝড় বইছে৷ এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে উনার হুমকি প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছিলো অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টস৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হুমকি প্রত্যাহার করতে নারাজ৷ বিষয়টি রাজ্যপাল থেকে শুরু করে দিল্লী প্রধানমন্ত্রীর এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যন্ত অবহিত করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না৷ আর ধারাবাহিকভাবে সংবাদমাধ্যমকে নিগ্রহ হতে হচ্ছে৷ এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী অ্যাসেম্বলি অফ জার্নালিস্টের আহবানে সাড়া দিয়ে রবীন্দ্র ভবনে সম্মুখে শহীদ স্কয়ারে গণবস্থানে বসে সংবাদ কর্মীরা৷

গণবস্থানে উপস্থিত অ্যাসেম্বলি অফ জার্নালিস্টের চেয়ারম্যান সুবল কুমার দে বক্তব্য রেখে বলেন, সংবাদমাধ্যম কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষপাতিত্ব নয়৷ সংবাদমাধ্যম মানুষের হয়ে বিগত দিনেও কাজ করে এসেছে৷ এবং আগামী দিনেও কাজ করবে৷ তবে এ ধরনের সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনায় রাজ্যে বিরল বলা যায়৷ এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে যে হুমকি দিয়েছে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে৷ নয়তো এই ধরনের আন্দোলন আগামী দিনে জনস্বার্থে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান৷
শ্রী দে আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা দেওয়া হবে৷ কিন্তু, ২০১৮ সালের মার্চ মাসে ক্ষমতায় আসে নতুন সরকার৷ গত ২ বছর ৫ মাসে রাজ্যের সাংবাদিকরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন৷ এই সময়ের মধ্যে ১৭ জন সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছেন৷ শ্রী দে আরও জানান, রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমা থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গিয়েছে কর্মরত সাংবাদিকরা প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে পড়ছেন৷
এদিকে, গণবস্থানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রবীণ সাংবাদি স্রোত রঞ্জন খিসা বলেন, অতীতে রাজ্য সরকারের রোষাণলে পড়েছে ত্রিপুরার প্রথম দৈনিক জাগরণ৷ এই সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *