নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ অক্টোবর৷৷ নদীর চড়ে এক প্রাণীর কঙ্কালকে ঘিরে দক্ষিণ জেলার শান্তিরবাজার মহকুমায় ভীষণ কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে৷ অবশ্য ওই প্রাণী কোন প্রজাতির তা এখনও সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না৷ অনুমানের ভিত্তিতে হায়না কিংবা ঘোড়া প্রজাতির প্রাণী হতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে৷
আজ শনিবার দক্ষিণ জেলার শান্তিরবাজার মহকুমার কাঞ্চননগরে লাউগাঙ নদীর চড়ে একটি কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে৷ স্থানীয় যুবক ভূবিদ্যার ছাত্র শুভ্রদীপ নন্দী প্রথম দেখেছিলেন কঙ্কালটি৷ তার পর তিনি নিজেই ওই কঙ্কালের পর্যবেক্ষণ করেন এবং বন দফতরকে খবর দেন৷ এ-বিষয়ে শুভ্রদীপ বলেন, ওই প্রাণীর দুটো চোয়ালে দাঁত রয়েছে৷ যা এখনও অক্ষত৷ তাছাড়া মেরুদণ্ডের অনেক অংশ মাটির নীচে৷ তিনি বলেন, কঙ্কালটির শুধু চোয়াল এক ফিট দীর্ঘ৷ স্বাভাবিকভাবেই অনুমান করা যাচ্ছে, প্রাণীটি অনেক বড় আকারের ছিল৷ অবশ্য ওই প্রজাতির প্রাণী ত্রিপুরায় লুপ্তপ্রায় বলে মনে করছেন তিনি৷
তাঁর দাবি, আজ সকালে নদীর চড়ে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে কঙ্কাল দেখতে পেয়েছিলাম৷ তার পর ওই কঙ্কালটি কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করার পর সমস্ত বিষয় বন দফতরকে জানিয়েছি৷ এখন বন দফতর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে৷
শান্তিরবাজার মহকুমা বন আধিকারিক টেলিফোনে জানিয়েছেন, কঙ্কাল দেখে কোন প্রজাতির প্রাণী বলা মুশকিল৷ তাই, নমুনা পরীক্ষার জন্য পশুদের ফরেনসিকে পাঠানো হবে৷ তাঁর কথায়, ত্রিপুরায় পশুদের ফরেনসিক নেই৷ তাই নমুনা দিল্লিতে অবস্থিত বন্যপ্রাণী ইনস্টিটিউটে পাঠানো হবে৷ সে মোতাবেক সমস্ত ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷
এদিন শুভ্রদীপ জানিয়েছেন, কঙ্কালটি হায়না প্রজাতির প্রাণীর হতে পারে৷ তবে শান্তিরবাজার মহকুমা বন আধিকারিক দাবি করেছেন, এই কঙ্কালটি খচ্চরেরও হতে পারে বলে মনে হচ্ছে৷ এদিকে, কঙ্কাল উদ্ধারের খবর চাউর হতেই উৎসুক মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে৷ বিশেষ করে সুকল পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা বিশেষ উৎসাহ নিয়ে ওই কঙ্কাল দেখার জন্য ভিড় করছে৷ বন দফতরের আধিকারিকরা ওই কঙ্কাল নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন৷

