আগরতলা, ১০ আগস্ট (হি.স.)৷৷ চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের নিয়ে সুপ্রিমকোর্ট প্রদত্ত রায়ের চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে৷ সবর্োচ্চ আদালতের কাছে ওই রায়ের স্পষ্টীকরণ জানার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও চর্চা হচ্ছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের একান্তবাসের মেয়াদ সমাপ্ত হলে ওই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ সোমবার এ-কথা বলেন ত্রিপুরার আইন ও শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ৷
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় বহু চর্চিত ১০৩২৩ চাকরিচ্যুত শিক্ষক মামলায় সুপ্রিমকোর্ট চূড়ান্ত রায় দিয়েছে৷ শীর্ষ আদালত সমস্ত আবেদন খারিজ করে দিলেও, চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের শিক্ষক পদে নিয়োগ এবং বিকল্প কর্মসংস্থানে ছাড় দিয়েছে৷
আজ ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী চাকরিচ্যুত শিক্ষক সংগঠনের রক্তদান শিবির পরিদর্শন করেছেন৷ শিবিরে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, চাকরুর নিশ্চয়তার প্রশ্ণে বিভিন্ন আন্দোলন হচ্ছে৷ কিন্তু ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আন্দোলনকে ত্রিপুরা সরকার মানবিকতার দৃষ্টিতেই দেখছে৷
তিনি বলেন, সুপ্রিমকোর্ট চাকরিচ্যুত শিক্ষক মামলায় চূড়ান্ত রায় দিয়েছে৷ আমরা কিছু আবেদন রেখেছিলাম৷ সে বিষয়ে কিছু অস্পষ্টতা রয়েছে৷ তাঁর কথায়, চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের জীবন-জীবিকার প্রশ্ণে কিছু ছাড় চেয়ে সুপ্রিমকোর্টে হলফনামা দিয়েছিল ত্রিপুরা সরকার৷ কিন্তু আমাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে৷ তবে নিয়োগে ছাড়ের বিষয়েও উল্লেখ রয়েছে৷ তাই, সবর্োচ্চ আদালতের রায় নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হচ্ছে৷
আইনমন্ত্রী বলেন, রায় নিয়ে অস্পষ্টতা দূর করার জন্য পুনরায় সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানোর বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি৷ আগামী ১২ আগস্ট মুখ্যমন্ত্রীর গৃহ একান্তবাসের মেয়াদ সমাপ্ত হবে৷ এর পরই এ-বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে ত্রিপুরা সরকার৷
তাঁর দাবি, ত্রিপুরা সরকার চাকরিচ্যুত শিক্ষক এবং বেকার উভয়ের প্রতি দায়বদ্ধ এবং সহানুভূতিশীল৷ ফলে, কারোর সাথে অবিচার করা হবে না৷ বেকারদের কর্মসংস্থানের প্রশ্ণে ঢালাও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে৷ সাথে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের জীবন-জীবিকা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব নিয়েছে ত্রিপুরা সরকার৷ তাই এ-বিষয়ে অযথা রাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত, বলেন তিনি৷

