দক্ষিণ জেলায় বন বিভাগে ঘুঘুর বাসা, চোরাই গাছের লগের চাঙ্গা ব্যবসা

নিজস্ব প্রতিনিধি, বিলোনীয়া, ৮ আগস্ট৷৷ দক্ষিণ জেলা বন দপ্তরের কর্মী ও বন দস্যুদের নিগুর সখ্যতায় বিশাল কামাই বাণিজ্য চলছে বিলোনিয়াতে৷ কখনও পয়সার নিরিখে সমঝোতা করে ছেড়ে দিচ্ছে বালু বোঝাই গাড়ি কখনো বা মোটা টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার চোরাই কাঠ৷ এভাবেই সমগ্র দক্ষিণ জেলার বনদপ্তরে একশ্রেণীর বনকর্মী ভালোই উপার্জন করে যাচ্ছে বলে লোকমুখে গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে৷


রক্ষক যেখানে ভক্ষক হয়ে যায় , বনভূমির গাছকে রক্ষার ব্যাপারে প্রশ্ণ চিহ্ণ দেখা দিয়েছে৷ গাড়ি ভর্তি অবৈধ সেগুন গাছের লগ গোপন খবর থাকা সত্ত্বেও, গরিমসি চলছে অভিযানে নামবে কিনা৷ অগত্য বাধ্য হয়ে লোক দেখানো অভিযানে নেমে বিলোনিয়ার দক্ষিণ সোনাইছড়ি এবং রতনপুর বাজার সংলগ্ণ এলাকা থেকে সেগুন গাছের লগ ভর্তি দুটি গাড়ি আটক করে জেলার বিট অফিসার বিকাশ দাস৷ অবৈধভাবে মজুত রাখা গাছের লগ ভর্তি গাড়ি গুলি কে নিয়ে আসা হয় বিলোনিয়া জেলা ফরেস্ট অফিসে৷ কিন্তু কোন অদৃশ্য শক্তির কারণে ফরেষ্ট আইনে গাড়ি গুলিকে আটকে না রেখে , টিআর০৩সি-১৬৭৭ বুলরো এবং টিআর০৮এ-১৭২৯ নম্বরের এই দুটি গাড়ী থেকে অবৈধ সেগুন গাছের লগ আনলোড করে ছেড়ে দেয়া হয়৷

এতে জনগণ ধারণা করছেন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গাড়ি গুলিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে৷ আবার কেউ কেউ বলছেন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা এ খবর পেয়ে জেলার বনদপ্তরের এসে পড়ার ফলে কোন উপায় না দেখে বিট অফিসার বিকাশ বাবু গাছের লগ গুলিকে রেখে দিয়ে গাড়ি ছেড়ে দিয়েছেন৷ সাংবাদিক উপস্থিত না হলে দফারফার মাধ্যমে গাছের লগ সহই গাড়ি ছেড়ে দেয়া হতো৷ অভিযোগ প্রায়ই নাকি এভাবেই এই বিট অফিসার ভালোই বাণিজ্য করে যাচ্ছে৷ সাংবাদিকরা বিট অফিসার বিকাশ দাস কে এদিনের এই বিষয়ে প্রশ্ণ করলে উনি ক্ষেপে গিয়ে কোন জবাব না দিয়েই চলে যান৷