গুয়াহাটি, ১ আগস্ট (হি.স.) : জাতীয় শিক্ষানীতি খুব শীঘ্রই অসমে কার্যকর হবে। তার তথ্য দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। রাজ্যর শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে কী কী পদক্ষেপ অসম সরকার নেবে তা আজ শনিবার জনতা ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেছেন মন্ত্ৰী ড. শৰ্মা। সাংবাদিক সম্মলনে রাজ্যের স্কুল কলেজে নিয়োগ এবং প্ৰাদেশিকীকরণের ব্যাপারেও গুরুত্বপূৰ্ণ ঘোষণা করেছেন তিনি।
শিক্ষমন্ত্ৰী জানান, রাজ্যের ১৬টি কলেজে বিজ্ঞান শাখা প্ৰবৰ্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকারের ক্যাবিনেট। কলেজগুলি যথাক্ৰমে জিএলসি কলেজ, বিহালি কলেজ, শিলাপথার কলেজ, ডিডিআর কলেজ, জয়া কলেজ, এসবি দেওরা কলেজ, সুরেন দাস কলেজ, পূর্ব কারব আংলং কলেজ, মাইবাং কলেজ, পাথারকান্দি কলেজ, জেংরাইমুখ কলেজ, নগাঁও কলেজ, বরক্ষেত্ৰী কলেজ, রাঙাপাড়া কলেজ, শদিয়া কলেজ, পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় কলেজ। এই সকল কলেজে ২৪০টি অধ্যাপক অধ্যাপিকা পদের পাশাপাশি ৮০টি তৃতীয় এবং চতুৰ্থ বৰ্গের পদ নতুন করে সৃষ্টি করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
মন্ত্ৰী ড. শর্মা জানান, ৪৫ দিনের মধ্যে নিয়োগ প্ৰক্ৰিয়া সম্পন্ন করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষকে। এ বছর বিজ্ঞান শাখায় যাতে ভরতি করা যায় তার প্ৰতি লক্ষ্য রেখে এক সপ্তাহের মধ্যে বিজ্ঞাপন জারি করতেও অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে অপ্রাদেশিকৃত স্কুল কলেজগুলিকে প্ৰাদেশিকীকরণ করা হবে জানিয়ে বলেন, প্ৰথম তালিকা ১৫ আগস্টের আগে অর্থ দফতর অনুমোদন দেবে। কিন্তু কার্যকর হবে ২০২০-এক ১ জানুয়ারি থেকে। ১৫ আগস্টের মধ্যে ১৯৭টি হাইস্কুল, ৯-টি হায়ার সেকেন্ডারি, ১৪৯টি জুনিয়র কলেজ বা সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুল প্ৰাদেশিকীকরণ করা হবে। এছাড়া ৪১৪ জন শিক্ষক এবং জুনিয়র কলেজের ৯৭ জন শিক্ষক পদ করে প্ৰাদেশিকৃত হবে নতুন করে। অর্থাৎ মোট ৩,৩৫৯ মাধ্যমিক শিক্ষায় শিক্ষক-শিক্ষিকা পদ প্ৰাদেশিকীকরণ হবে। মন্ত্রী এ-ও বলেন, প্ৰাদেশিকীকরণের যোগ্যতা আহরণ করেছেন এমন ৬৯০ জন কলেজ শিক্ষকের পদ প্ৰাদেশিকৃত করা হবে। সঙ্গে জানান, রাজ্যের নতুন ৩০টি কলেজ প্ৰাদেশীকৃত করার পাশাপাশি ২৩১টি পদ নতুন করে প্ৰাদেশীকৃত হবে বলেও জানান মন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব।
এছাড়া রাজ্যের ১১৯টি চা বাগানে প্ৰথমবারের জন্য হাইস্কুল স্তাপন হবে। এর কাজও শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানিয়ে মন্ত্ৰী বলেন, আগামী ২ অক্টোবর এই চা বাগানগুলিতে হাইস্কুল নিৰ্মাণের কাজ শুরু করা হবে। প্ৰত্যেকটি স্কুল তৈরির জন্য ১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা ধাৰ্য করা হয়েছে।
নতুন শিক্ষানীতি কার্যকর করতে ৪০ সদস্যের এক কমিটি গঠন, সাব গ্ৰুপ গঠন করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। কী করে অসমে নতুন শিক্ষানীতি কার্যকর করা যায় তার জন্য আগামী জানুয়ারি মাসে ব্লু প্ৰিন্ট প্রকাশ করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, নয়া শিক্ষানীতি অনুয়ায়ী পঞ্চম শ্ৰেণি পর্যন্ত মাতৃভাষার প্ৰয়োগ হলে বহু মানুষ শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে জড়িত হওয়ার সুযোগ পাবেন। এছাড়া উচ্চ মাধ্যমিক সৰ্বজননীন হওয়ায় শিক্ষার মানদণ্ডও উন্নত হবে এবং পূৰ্ণ মানবসম্পদে রূপান্তরিত হতে ছাত্ৰছাত্ৰীরা সুযোগ পাবে বলেও মন্ত্ৰী ড. শর্মা দাবি করেন।