কদমতলা ব্লকে রেগা প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ,কাঠগড়ায় উপপ্রধান ও জিআরএস

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ২৭ জুন৷৷ রেগার কাজে ব্যাপক অনিয়ম৷ সরকারি অর্থ প্রায় ২ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা হাফিজ,অভিযোগ রেগা শ্রমিকদের৷ অভিযোগের কাঠগড়ায় জিআরএস এবং উপপ্রধান৷ অপরদিকে জি আর এস রেগা শ্রমিকদের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন৷ ঘটনা কদমতলা ব্লকাধীন বাঘন গ্রাম পঞ্চায়েতে৷ ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে উত্তর জেলার কদমতলা ব্লকাধীন বাঘন গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ নং ওয়ার্ডে রেগার কাজে ব্যাপক অনিয়ম ঘটেছে বলে স্থানীয়রা রেগা শ্রমিকদের অভিযোগ৷



শ্রমিকদের দাবি বাঘন গ্রাম পঞ্চায়েতের জিআরএস আকবর আলি, উপপ্রধান অজিত মালাকার সহযোগে কংগ্রেস নেতৃত্বরা ৩ টি রিপিয়ারিং নালা এবং ২ টি ল্যান্ড লেবেলিং এর ওয়ার্ক অর্ডার ও ইস্টিমিট বানিয়ে সরকারি অর্থ প্রায় ২ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন৷ নালা গুলি হল (১) নিতাই দেব টু  বুদুল মিয়া(২) আব্দুল সালাম টু পি ডাব্লিউ ডি(৩) করুনা মালাকার টু অবনী মালাকার৷ এবং ল্যান্ড লেবেলিং গুলি হল (১) ল্যান্ড লেবেলিং আব্দুল হান্নান (২) ল্যান্ড লেবেলিং বেনুভূষণ দেব৷সাধারণ শ্রমিক কাজের জন্য হাহাকার করলেও বিগত লকডাউন চলাকালীন সময় ওই সকল কাজের ওয়ার্ক অর্ডার ইস্টিমেট তৈরি করে মাস্টারুল এর মাধ্যমে জিআরএস উপপ্রধান ও স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বরা সাধারণ শ্রমিকের প্রাপ্য অর্থ হাফিজ করার মত গুরুতর অভিযোগ রেগা শ্রমিকরা উত্থাপন করেছেন৷



সাধারণ শ্রমিকদের দাবি, ৩ টি রিপিয়ারিং নালা এবং ২ টি ল্যান্ড লেবেলিং এ কোন ধরনের কাজ হয়নি৷ কিন্তু দুটি নালার পাশে পঞ্চায়েত তরফ থেকে কাজের সাইন বোর্ড লাগানোর পর বাকি কাজের সাইন বোর্ড লাগাতে গেলে স্থানীয়রা জিআরএস কে বাধা দেন৷এমনকি ল্যান্ড লেবেলিং এর জায়গাও খুঁজে পাননি স্থানীয় শ্রমিকরা৷ এবং কাজ না করে কিভাবে ওই সকল কাজের সরকারি অর্থ ব্যয় হয়ে গেল তা নিয়ে স্থানীয় জনগণ বাঘন গ্রাম পঞ্চায়েতে জানতে গেলে পঞ্চায়েতের জিআরএস আকবর আলি রেগা শ্রমিকদের একমাস ঘুরানোর পরও কোনো সদুত্তর দেননি বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ৷ তারপর কদমতলা সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক কমল দেববর্মার নিকট এই বিষয়ে অভিযোগ করলে সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক বিষয়টুকু দেখছেন বলে স্থানীয়দের আশ্বস্ত করলেও আজ প্রায় এক মাস অতিক্রান্ত৷



স্থানীয় রেগা শ্রমিকদের ঘুমে রেখে উনাদের মঞ্জুরকৃত অর্থ পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ কিভাবে আত্মসাৎ করলো তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয় জনগণ৷ স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, দেশব্যাপী চলছে লকডাউন আর সেই লকডাউন চলাতে নুন আনতে পান্তা ফুরাচ্ছে সাধারণ মানুষের৷ সেই সময় যদি উনাদেরকে ওই পাঁচটি রেগা প্রজেক্টের কাজের সুযোগ দিতো স্থানীয় পঞ্চায়েত,তাহলে উনাদের ছোট ছোট সন্তানের মুখে ভালো মন্দ কিছু তুলে দিতে পারতেন৷ তাই স্থানীয় রেগা শ্রমিকরা বাঘন গ্রাম পঞ্চায়েতের সরকারি অর্থের চরম দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কদমতলার সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক, উত্তর জেলার জেলাশাসক ও রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন৷



অপরদিকে বাঘন গ্রাম পঞ্চায়েতের জিআরএস আকবর আলীকে এই ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞেস করলে উনি স্থানীয় রেগা শ্রমিকদের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন৷ উনার বক্তব্য ঐ ৫ টি প্রজেক্টটে সরকারি নিয়ম অনুসারে শ্রমিকরা কাজ করেছেন৷ আর এলাকার শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টটেই টাকা গিয়েছে বলে জিআরএস এর দাবি৷ এখন উর্দতন কর্তৃপক্ষের তদন্তে কি বেরিয়ে আসে সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ণ৷