নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ জুন৷৷ বিচারাধীন জনৈক কয়েদির পুলিশ লকআপ এবং সংশোধনাগারে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিতে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার৷ পাশাপাশি নিহত কয়েদিদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি৷
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বিচারাধীন কয়েদির অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ তাঁর কথায়, পুলিশ লকআপ কিংবা সংশোধনাগারে বিচারাধীন কয়েদির মৃত্যুতে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে৷ গণতন্ত্রে এ-ধরনের ঘটনার কোনও ব্যবস্থা না করে এড়িয়ে যাওয়া কিংবা গোপন করা অকল্পনীয় বিষয়৷ তিনি বলেন, গত ৮/৯ মাসে এমন চারটি ঘটনার এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি৷
তালিকা তুলে ধরে মানিক সরকার বলেন, ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আরকেপুর পুলিশ লকআপে মঙ্গল দাস, গত ১২ জানুয়ারি পশ্চিম আগরতলা থানার লকআপে সুশান্ত ঘোষ, ২৮ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে সন্দীপ সরকার এবং ১৭ জুন অমরপুর সাব-জেলে সাজাইও মগের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে৷ চারটি ঘটনার এখন পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি৷ এমন-কি নিহতের পরিবারকেও কোনও সরকারি সহায়তা প্রদান করা হয়নি৷
তিনি বলেন, গত ২০ জুন সাজাইও মগের পরিবারের সাথে আমার নেতৃত্বে বিধায়ক রতন ভৌমিক, যশবীর ত্রিপুরা এবং প্রভাত চৌধুরী দেখা করেছি৷ তাঁদের খোঁজখবর নিয়েছি৷ তাঁদের সাথে কথাবার্তায় ওই মৃত্যু নিয়ে ক্ষোভ প্রতিফলিত হতে দেখেছি, সতর্ক করে বলেন তিনি৷ সাথে তাঁর পরামর্শ, বিচারাধীন কয়েদির মৃত্যুর ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নিতে চাইছে না সাজাইও মগের পরিবার, ত্রিপুরা সরকারের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত৷
মানিক সরকার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের কাছে সাজাইও মগ সহ চারটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন৷ পাশাপাশি, নিহতদের পরিবারে সরকারি চাকরি এবং থানা ও সংশোধনাগারে পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তাদের প্রতিনিয়ত নজরদারি রাখার আর্জি জানিয়েছেন তিনি৷ প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় বামফ্রন্ট জমানায় পুলিশ লকআপে ১৫ জন বিচারাধীন কয়েদির মৃত্যু হয়েছে৷ কোনও ঘটনারই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি তদানীন্তন সরকার, গত জানুয়ারিতে সাংবাদিক সম্মেলনে এই দাবি করেছিলেন আইনমন্ত্রী রতনলাল নাথ৷